বিজেপি-র লালবাজার অভিযানের জেরে কাল, বুধবার কার্যত স্তব্ধ হতে পারে মধ্য ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
সন্দেশখালিতে দু-জন দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রের শাসকদলের ওই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কা করছে পুলিশ। গোলমাল ঠেকাতে ব্যাপক পুলিশবাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মধ্য কলকাতার দুটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হবে। লালবাজারে ঢোকার সবকটি রাস্তা বেলা ১১টা থেকে বন্ধ থাকবে। বড় রাস্তার পাশাপাশি লালবাজারে যাওয়া যায়, এমন ২০টি গলি চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সেগুলিও নজরদারির আওতায় থাকবে। লালবাজার সংলগ্ন বেশ কিছু বহুতলেও নজর রাখা হবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, বেলা ১২টা নাগাদ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হবেন নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট হয়ে লালবাজারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তাঁরা। এই রাস্তায় মিছিল এগোলে ফিয়ার্স লেনের মুখে তার গতিরোধ করবে পুলিশ। তবে পুলিশের আশঙ্কা, বিজেপি কর্মীরা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বেরিয়ে গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ ধরেও সরাসরি লালবাজারের দিকে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের আটকানো হবে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের মুখেই।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, গেরুয়া ব্রিগেডের বিক্ষোভ রুখতে ত্রিস্তরীয় প্রতিরোধ তৈরি করা হবে। প্রথমে লাঠিধারী পুলিশবাহিনী এবং তার পিছনে থাকবে অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান। প্রসঙ্গত, গতবছরও বিভিন্ন দাবিতে লালবাজার অভিযান করেছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল শহর। একাধিক জায়গায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থকেরা। পুলিশের গাড়িও পুড়েছিল সেবার। এবারও অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিদের আশঙ্কা, মধ্য কলকাতার লেনিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এবং উত্তর কলকাতার বিধান সরণির বিভিন্ন অংশে ব্যাপক যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে।