বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন একাধিকবার। অসুস্থতা কাটিয়ে ফের তিনি সক্রিয়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা হলেও ২০২১ বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে দল ভরসা রাখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহতে। কেন্দ্রীয় বিজেপিতে বাংলার রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে অন্যদের থেকে অনেকটাই বেশি অবগত অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দলের বৈঠকে এরাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বকে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। রাজ্য নেতৃত্বও বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বৈঠকের পর বলেন, "দুর্গাপুজোর আগে অমিত শাহকে রাজ্যে আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। অমিত শাহ বাংলায় এলেই দল আরও চাঙ্গা হয়ে যাবে। রাজ্যে দলীয় কর্মীদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার বাড়ছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব জানানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে নাড্ডাজিও আসবেন।" রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, বঙ্গ বিজেপির রণকৌশল স্থির করতে বিজেপি আস্থা রাখছে অমিত শাহর উপর। দিলীপ ঘোষ জানান, এদিন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অমিত শাহ কয়েকবছর ধরে বাংলার কাজ দেখেছেন। তাঁর সামনে বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলি করতে হবে।
এদিন দিল্লিতে দলের সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডার বাসভবনে বঙ্গ বিজেপির রণকৌশল স্থির করতে বৈঠকে বসেন দলের কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানেই পুজোর আগে ও তার পরের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দলের একতা বজায় রাখার ওপরও জের দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা কেন রাজ্যবাসী পাচ্ছে না, তা প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। এর আগে কৃষি বিল নিয়ে জোরদার প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এখন সেই প্রচার চলছে।
বিজেপি অবাঙালীর দল বলেই বিরোধীরা এখানে অনবরত প্রচার করছে। উত্তরপ্রদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে সরকারি নির্দেশ তুলে ধরে আক্রমণ শানাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাঙালীর দল প্রমানের জন্য বিজেপি নানা কৌশল নিয়েছে। বাঙালি মনিষীদের নামোচ্চারণ ছাড়া বাংলার কোনও সভায় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন না। গতবছর দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সামনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচন, এবার বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবকে পদ্মশিবির আরও বেশি আঁকড়ে ধরবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন