লোকসভা ভোট মেটার পর বাংলায় তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর অব্যাহত। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রায়শই হামলার অভিযোগ উঠছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই ঘটনাবলির তালিকায় এবার নাম জুড়ল কলকাতার অদূরে বেলঘরিয়ার। এক বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলঘরিয়ার বাদামতলায়। ওই বিজেপি নেতার স্ত্রীকে অ্যাসিড বাল্ব মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে বিজেপি নেতার ছেলেকে অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।
ঠিক কী অভিযোগ?
বাড়ির সামনে তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী তাঁকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি ট্রেড ইউনিয়নের কামারহাটির মণ্ডল সভাপতি সৌরভ সেনগুপ্ত। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মোতিলাল দাস, সুব্রত বর্মন, টুলটুল বর্মন, সুব্রত দাস, জয়ন্ত দাস, প্রসেনজিৎ ঘোষরা আমায় ঘিরে ধরে মারধর করে। আরও কয়েকজন বাইরের লোক ছিল। আমি বিজেপি করি বলে মারধর করেছে। তাছাড়া ওদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম আগে। সেই রোষ থেকেও আক্রমণ করা হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি’’।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামে কীর্তনের আসরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী
অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘‘কামারহাটি এলাকায় এরকম ঘটনা ঘটেনি। যদি কেউ বলে থাকেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। অপবাদ দেওয়ার জন্যই এসব বলা হচ্ছে’’।
উল্লেখ্য, শনিবার ঝাড়গ্রামে বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে হরিনাম সংকীর্তনের আসরে ২০ বছর বয়সী খগপতি মাহাত নামে এক বিজেপি কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।