সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে চলা কোন্দল নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির আক্রমণ বিজেপি নেতার। 'ওটা পার্টি নয় ওটা প্রপার্টি', জোড়াফুলের অন্দরের কলহকে একহাত নিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।
'এক ব্যক্তি এক পদ' দাবি উঠতেই অস্বস্তি বেড়েছিল তৃণমূলে। তারই মধ্যে শনিবার তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের শাসকদলের শীর্ষস্তরের সব পদের আপাতত অবলুপ্তি ঘটেছে। জাতীয় কর্মসমিতির সভানেত্রী হয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতি পরিচালিত হবে।
এদিকে, রাজ্যের জোড়াফুল নিয়ে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে এদিন তিনি বলেন, ''তৃণমূলে একটাই পদ বাকি সব আপদ। এটা বাস্তব। তৃণমূল তৃণমূলেই আছে। কোনও পার্টি নয় ওটা প্রপার্টি।ওখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা ওখানে চাকরি করছেন। তাঁদের কোনও অধিকার নেই, কিছু বলার ক্ষমতাও নেই। লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে, সিনিয়র-জুনিয়র, পিসি-ভাইপোর। তার পরিণাম হবে এটাই, যে যদুবংশের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে। নিজের পার্টিটাই ধ্বংস হয়ে যাবে, সেটা শুরু হয়ে গিয়েছে। ওপর থেকে নিচ অবধি ঝগড়া। কোনও সম্মান নেই, কোনও ডিসিপ্লিন নেই।''
আরও পড়ুন- ‘আনুগত্যে’র দাম পেলেন অনুব্রত, জাতীয় কর্মসমিতি থেকে বাদ পড়লেন যাঁরা
এরই পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক নির্বাচনে ঘটে যাওয়া অশান্তির দাও তৃণমূলের কাঁধেই চাপিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''দু'দিন আগেই উত্তর প্রদেশে ভোট হয়ে গেল। একটা বোমা-বন্দুক নেই, লড়াই নেই। কেউ কমপ্লেন করতে পারেনি। কোনও রিগিং হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে কেন রিগিং হয়? কেন উৎপাত হয়? পুলিশ দাঁড়িয়ে মজা দেখে। কেন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়নি। এর জবাব তৃণমূলকেই দিতে হবে।''