জোড়া খুনে তোলপাড় কেরল-রাজনীতি। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গত রবিবার সকালে আলাপ্পুঝায় বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাস খুনে গা শিউরে ওঠার মতো তথ্য সামনে এল। রবিবার সকালে ছোট মেয়ে ও বৃদ্ধ মায়ের সামনেই ধারালো অস্ত্রের কোপে খুন করা হয় বিজেপি নেতাকে। এমনই জানিয়েছেন নিহতের দাদা অভিজিৎ শ্রীনিবাস। যদিও বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত খুনে এখনও অধরা অভিযুক্তরা।
রবিবার সকালে আলাপ্পুঝায় বড় মেয়েকে টিউশন পড়তে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীনিবাস। তাঁর দাদা অভিজিৎ শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, তাঁদের মা স্থানীয় মন্দিরে সেদিন সকালে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর ভাইয়ের কোচিতে (বিজেপি) ওবিসি মোর্চা কমিটির প্রথম বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল। বড় মেয়েকে টিউশন ক্লাসে ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন রঞ্জিত।
তিনি জানান, রবিবার সকালে বাড়িতে চড়াও হয়ে তাঁর ভাইয়ের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে মারতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। মাটিতে পড়ে গেলে নির্মভাবে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়। গোটা ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁদের মা ও রঞ্জিতের ছোট মেয়ে। ছেলেকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছেন বৃদ্ধ মা। ছোট্ট মেয়েও বাবাকে তাঁর চোখের সামনে খুন হতে দেখেছে।
আরও পড়ুন- ‘BJP, CPM, Congress ভোকাট্টা-নো পাত্তা’, কলকাতায় জয়ে উচ্ছ্বসিত মমতা
গত শনিবার মাঝরাতে আলাপ্পুঝাতেই খুন হন এসডিপিআই নেতা কেএস শান। সেই খুনের 'বদলা' নিতেই বিজেপি নেতা রঞ্জিতকে কুপিয়ে খুন বলে দাবি নিহতের দাদার। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, রঞ্জিতের নামে এর আগে কখনও অপরাধমূলক মামলা ছিল না। এর আগে কোনও গন্ডগোলেও তাঁর নাম জড়ায়নি। এসডিপিআইয়ের রাজ্যস্তরের নেতা কেএস শান খুনের পর প্রতিহংসার আগুনে জ্বলছিল তাঁর অনুগামীরা। দলীয় নেতা খুনে তাঁরই মর্যাদার কোনও নেতাকে নিশানা করার কথা ভেবেছিল তারা। সেই কারমে রঞ্জিতকে খুন হতে হল বলে দাবি কারও কারও।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে আলাপ্পুঝাতেই খুন হন এসডিপিআই নেতা কেএস শান। এসডিপিআই নেতা খুনে গতকালই আরএসএস-এর দুই কর্মীকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। ওই ঘটনায় আরও ৮ জনের যোগ রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তবে বিজেপি নেতা খুনে এখনও অধরা অভিযুক্তরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দোষীদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Read ful story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন