এই প্রথম রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলীয় কর্মীর মৃতদেহ নিয়ে রাজভবনে যেতে চাইল কোনও রাজনৈতিক দল। সিবিআই তদন্ত দাবি করে দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত বিজেপির যুব নেতা মণীশ শুক্লর দেহ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পুলিশি বাধায় কলকাতায় মাঝ রাস্তায় শববাহী গাড়িতে মণীশ শুক্লর দেহ পড়ে রইল বহু সময়। শববাহী গাড়ি কোন দিকে যাবে তা নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেল। উত্তপ্ত হয়ে উঠল নিউমার্কেট চত্বর।
এদিন পোস্টমর্টেম করতে দেরি হওয়ায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, সাংসদ অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব এনআরএস হাসপাতালে পৌঁছান। শেষমেশ পোস্টমর্টেম দেরি হওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি নেতৃত্ব। এই অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের কাছে বিস্তারিত অভিযোগ করেন বিজয়বর্গীয়।
কেন রাজ্যপালের কাছে দেহ নিয়ে যেতে চান তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, "রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমাদের সিআইডির ওপর কোনও ভরসা নেই। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতেই দেহ নিয়ে রাজভবনে যেতে চাই।" যদিও দেহ রাজভবনে যাওয়ার কোনও পুলিশি অনুমতি ছিল না। দেহ বিটি রোড হয়ে ব্য়ারাকপুর নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশ এসএন ব্যানার্জী রোডে আটকায় শববাহী গাড়ি।
এসএন ব্যানার্জী রোডে ঘণ্টাখানেক ধরে শববাহী গাড়ি দাঁড়িয় পড়ে। দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। নিউমার্কেটের সামনে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের তর্ক বেঁধে যায়। চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপ্রকার পুলিশ ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তা-ধস্তি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়ে দেয়, মণীশ শুক্লর দেহ রাজভবনে নিয়ে যাওয়া যাবে না। রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে পথ আটকানো হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। শেষমেশ রাজভবনে চার সদস্য়ের প্রতিনিধি যাওয়ার সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও মণীশ শুক্লর বাবা। তাঁরা সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে আসেন রাজ্যপালকে। মৃতদেহ টিটাগড়ের দিকে রওনা দেয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন