একদিকে যখন কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জমা পড়ছে, ঠিক তখনই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক করছেন মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিষ্ণপুরের দলত্যাগী তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
জানা গিয়েছে, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কলকাতায় তাঁর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, "ইতিমধ্যে মুকুল রায়ের নামে ২৬ টি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়কের খুনের ঘটনায় অহেতুক মুকুলবাবুর নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।" চলতি সপ্তাহেই আগাম জামিনের মামলার শুনানি হতে পারে বলে আদালত সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন, সত্যজিৎ বাচ্চা ছেলে, খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত হলে আমি ‘ফেস’ করতে রাজি: মুকুল রায়
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একসময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায়। এক্ষেত্রে অভিযোগের তীরের মুখে তাঁর প্রাক্তন দলই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁকে যে কোনও মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি রাজনাথকে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি বাড়তি নিরাপত্তা চেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। সম্প্রতি নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যদিও মুকুলবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত হলে তিনি 'ফেস' করতে রাজি আছেন।
আরও পড়ুন, তৃণমূল বিধায়ক খুনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর, গ্রেফতার ২
এদিন তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনায় হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের কাছে আগাম জামিনের আবেদন করেন মুকুল রায়। আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন থানাগুলোতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ টির বেশী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সমস্ত মামলার মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট রেলের চাকরির নামে প্রতারণা-সহ ১২ টি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। হাঁসখালির অভিযোগটি নতুন সংযোজন।"
ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তৃণমূলের নদিয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরুর আগেই খুনের পিছনে মুকুল রায় আছেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তবে এভাবে "মিথ্যা অভিযোগ" করলে ঘটনার প্রকৃত অপরাধী ধরা পড়বে না বলে মন্তব্য করেন মুকুলবাবুর আইনজীবী।