Advertisment

মমতা খুনি মুখ্যমন্ত্রী, নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালির তুলনা টেনে কটাক্ষ মুকুলের

মুকুল রায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আজ খুনি মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করলেন"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bjp

মুকুল রায়।

নন্দীগ্রামে নেত্রীর পাশে থেকে আন্দোলন করেছিলেন সিপিএমের বিরুদ্ধে। এবার সন্দেশখালির সঙ্গে সেই নন্দীগ্রামের খুনের তুলনা টানলেন একদা তৃণমূলের অঘোষিত দু'নম্বর তথা অধুনা বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি 'খুনি' বলে মঙ্গলবার তোপ দাগলেন মুকুল। এখানেই শেষ নয়, সীমান্তবর্তী এলাকার সন্দেশখালির সন্ত্রাসের ঘটনায় এনআইএ তদন্তও দাবি করেছেন তিনি। বিজেপির রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় এদিন বলেন, "নন্দীগ্রামের সময় খুনি মুখ্যমন্ত্রীর কথা উঠেছিল, তেমনই এখন খুনি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়"।

Advertisment

এদিন সন্দেশখালির ভাঙ্গিগ্রামে নিহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান মুকুল রায়। কথা বলেন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সেখান থেকে ফিরে বিজেপির রাজ্য দফতরে মুকুল রায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, "আজ খুনি মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যাসাগরের মূর্তি উন্মোচন করলেন"। তাঁর বক্তব্য, "আমি আজ ন্যাজাট গিয়েছিলাম। সেখানে যে দু'জন মারা গিয়েছে এবং যাঁরা নিখোঁজ, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসেছি। নন্দীগ্রামে যেমন খুনি মুখ্যমন্ত্রীর (বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) কথা উঠেছিল, তেমনই এখন খুনি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শাড়িতে রক্তের দাগ লেগে আছে। এদিকে বাদুড়িয়ায় বস্তা ভর্তি মাংস পাওয়া গিয়েছে। প্রশাসন বলছে, ওটা পশুর মাংস। কিন্তু বিষয়টি বেশ সন্দেহজনক"।

আরও পড়ুন- তৃণমূল মূর্তি ভাঙলে ঠাস ঠাস চড় মারতাম: মমতা

উল্লেখ্য, গত শনিবার ন্যাজাটের ওই গ্রামে বৃষ্টির মত গুলি চলেছে, জানিয়েছেন গ্রামবাসীরাই। এছাড়া চরম বোমাবাজিও হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। বিজেপির দাবি, ওই ঘটনায় খোঁজ মেলেনি তিনজনের। এই ঘটনার জন্য মুকুলের এনআইএ তদন্ত দাবি করা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হওয়ায় সহজেই সেখানে বাংলাদেশের অস্ত্র ঢোকে। এদিন মুকুল বলেন, "নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে ওখানে। এত অস্ত্র কোথা থেকে এল"?

প্রসঙ্গত, এদিন দুপুরে বিদ্যাসাগরের মূর্তির উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ মে কলকাতায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোড শোর সময়ে ওই মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। এদিন মুকুল রায় এ বিষয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে বিদ্যাসাগারের মূর্তি ভাঙার ঘটনার তদন্তও দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "নকশালবাড়ি আন্দোলনের সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। ডাঃ পার্থ সেনগুপ্ত ১৯৭০ সালে ওই মূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু আজ তাঁকে ডাকা হয়নি। কারণ, এখন রাজ্যে মমতার চেয়ে তো বড় মণীষী আর নেই । চলচ্চিত্র উৎসব থেকে রাজ্য়ের যে কোনও উৎসবেই এখন শুধু ওঁর ছবি"৷

Mamata Banerjee mukul roy All India Trinamool Congress bjp
Advertisment