তৃণমূলের হামলায় বিজেপি নেতা খুনের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে। মৃত বিজেপি নেতার নাম রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। সোমবার গভীর রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ হাসপাতালেই পুলিশ কব্জায় নিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পদ্ম বাহিনী। প্রতিবাদে মুখর গেরুয়া শিবির।
গত ১২ অক্টোবর হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জে বিজেপির সভা হওয়ার কথা ছিল। কৃষি সুরক্ষা বিল এবং আম্ফান দুর্নীতি নিয়ে পথ-সভা করার কথা ছিল বিজেপির। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, শেষ পর্যন্ত সেই সভা হয়নি। কিন্তু সভার আয়োজন উপলক্ষে এলাকা বিজেপি পতাকায় লাগানো হয়েছিল। যাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন, ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল।
অভিযোগ, ১৩ অক্টোবর বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল। বেশ কিছু পতাকা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যাতে বাধা দেয় বিজেপি। লোহার রড, বাঁশ, ধারালো অস্ত্র নিয়ে করা হামলায় আহত হন রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন। এঁদের মধ্যে ৩ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিরহাট হাসপাতালে পাঠানো হলেও, রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলকে পাঠানো হয় আরজি কর হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার গভীর রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের রীবন্দ্রনাথবাবুর।
এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানার মঙ্গলচণ্ডী গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হামলা ও মৃত্যুর জন্য বিজেপির তরফে দায়ী করা হয় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর ছেলেকে। মণীশ শুক্লার মতো কী দলীয় কর্মী রবীন্দ্রনাথ মণ্ডলের দেহ নিয়েও রাজপথে মিছিল করবে বিজেপি? এই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে তখনই মৃত পুলিশ নিজেদের কব্জায় নিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ গেরিয়া শিবিরের। এই ঘটনাকে 'অগণতান্ত্রিক-বর্বরোচিত-অমানবিক আচরণ' বলে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতৃত্ব।
রবীন্দ্রবাবুর মৃত্যুর প্রতিবাদে বসিরহাটজুড়ে বিজেপি তীব্র আন্দোলন, পথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন