মন্ত্রিত্ব ছাড়ার দিন তপসিয়ায় দলের সদর দফতর থেকে টিপ্পনী কেটেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নানা উপমায় ভূষিত করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার তার জবাব দিলেন একদা তৃণমূলের হাওড়ার সেনাপতি। সোমবার হাওড়ায় বিজেপি কার্যালয়ে বৈঠক শেষে এবার রাজীবের পাল্টা আক্রমণ, বটগাছের ঝরাপাতাকে ভয় কিসের?
শুভেন্দু অধকারীর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি যোগ নিয়েই সব থেকে বেশি চর্চা ছিল। শেষমেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে লাগাতার নিষ্ফলা বৈঠকের পর রাজীব মন্ত্রিত্ব ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার পর পদ্মশিবিরে ভিড়েছেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সময় তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব নানা ভাবে কটাক্ষ করেছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন কটাক্ষ করেছিলেন, বটগাছের ঝরাপাতা, সমুদ্রের এক ঘটি জলের সঙ্গে তুলনা টেনে।
হাওড়ার বিজেপি কার্যালয়ে বসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তাঁরা আমাকে নিয়ে এত উতলা হচ্ছেন কেন? রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত চিন্তার কারণ কী? আমি তো শুনেছি আমি বটগাছের ঝরা পাতা, সমুদ্রের এক ঘটি জল। যদি আমি সমুদ্রের এক ঘটি জল হই বা বটগাছের ঝরা পাতা হই তাহলে আমাকে নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা কিসের? আমি তো কউকে নিয়ে চিন্তা করছি না। আমি কোনও নেতৃত্বের নাম নিয়েছি কী? আমার লক্ষ্য কাউকে আক্রমণ করা নয়। আমার লক্ষ্য বাংলর মানুষের উন্নয়ন করা, বেকারদের কর্মসংস্থান, মা-বোনেদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক মানোন্নয়ন। আমি কেন ব্যক্তির আক্রমণের পিছনে ছুটব?"
সোমবার হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বিজেপি কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব। ইতিমধ্যে তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন প্রয়োজন হল এই হাই প্রোফাইল নিরাপত্তা ব্যবস্থার? এই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন রাজীব বলেন, "আমি মন্ত্রী থাকাকালীন হাওড়ায় পাইলট কার নিয়েও ঘুরতাম না। আমি নিজে লো প্রোফাইল মেনটেন করতে চাই। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করতে চাই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইছেন আমি যেন জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিই।" ডোমজুড়ের বিধায়ক জানিয়ে দেন, আগামিকাল থেকে তিনি জেলা সফর শুরু করবেন।
প্রাক্তন বনমন্ত্রীর কথায়, "প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক শত্রু ভাবত বামেরা। সেই কারণে তাদের আজ এই হাল। তারপরেও রাজ্যের বর্তমান শাসকদল সেই একই কাজ করে চলেছে।" শনিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই রবিবার ডুমুরজলায় বড় জনসভা, তারপরেই ডোমজুড় বিধানসভা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের ওপরে হামলার নিন্দা করেন তিনি।