Suvendu Adhikari: বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হয়ে বুধবার বিধানসভায় যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তাঁর কেবিনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়। প্রদীপবাবু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের সময় থেকে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের সচিব হিসেবে কাজ করেন। প্রায় আট বছর আগে তিনি বিধানসভা থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীকালে মানস ভুঁইয়া যখন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা ও আব্দুল মান্নান বিরোধী দলনেতা, তখন ফের প্রদীপবাবুর ডাক পড়ে।
তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই শুভেন্দু অধিকারীও ছাড়লেন না ‘কংগ্রেসি ঘরানা’র প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপি পরিষদীয় দলের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করবেন। বিধানসভা সূত্রে খবর। এই বিষয়ে সম্প্রতি প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয় শুভেন্দুর। তখনই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়কে রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দেন মান্নান। কংগ্রেস এবং বিজেপি, পরস্পর বিরোধী দুই দলের সঙ্গে কাজ করা এমন মানুষের সংখ্যা কার্যত বিরল। এমনকি রাজ্য বিধানসভায় ভিন্ন দুই বিরোধী দলের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও হাতে গোনা।
এদিকে, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় ছাড়াও প্রদীপবাবু আব্দুস সাত্তার, অতীশ সিনহার সঙ্গেও একটি ভূমিকা নিয়ে কাজ করেছেন। অপরদিকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর কেবিনে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক ইংলিশ বাজারের শ্রীরূপা মিত্রও। এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ ভবনে যান বিরোধী দলনেতা।
আলাপন ইস্যুতে বুধবার রাজ ভবনেই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন রাজ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর অভিযোগ, ‘কোনও মন্ত্রীদের কাজ করতে দেয় না মুখ্যমন্ত্রী। পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে কোনও ফাইলে সই করতে পারিনি আমি।‘ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সম্পৃক্ত। তাই আলাপন আর তৃণমূলের কথা এক। এমন অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এমনকি রাজনীতিতে অভিষেককে ‘অপরিণত মস্তিষ্ক’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন