/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/vikram-saini-759.jpg)
বিজপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি
ভারতে যাঁরা নিরাপদ বোধ করেন না, শঙ্কিত থাকেন, তেমন লোকজনকে বোম মারা উচিত। এমনটাই মনে করেন বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সাইনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ৭৪ সেকেন্ডের ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, মুজফফরনগরের এই বিধায়ক বলছেন, "আমার ব্যক্তিগত মত হল, ভারতে যারা নিরাপদ বোধ করছেন না, এবং শঙ্কিত থাকছেন, তাঁদের বোম মারা উচিত। আমি একটা মন্ত্রক পেলেই এরকম লোকজনের ওপর বোম মারব, কেউ বাঁচবে না।"
#WATCH Vikram Saini, BJP MLA from Muzaffarnagar says 'My personal view is that those who say they feel unsafe and threatened in India should be bombed, give me a ministry and I will bomb all such people, not even one will be spared' pic.twitter.com/E9yWNH7MBF
— ANI UP (@ANINewsUP) January 4, 2019
ওই বিধায়ক আরও বলেন, "এ ধরনের লোকজন হল বিশ্বাসঘাতক। এদের ব্যাপারে একটা কোনও ব্যবস্থা করা উচিত। তোমাদের যদি দেশপ্রেম না থাকে তাহলে এ দেশে থাকবে কেন? যদি এখানে নিরাপদ না বোধ করো, তাহলে যেখানে নিরাপদ বোধ করো, সেখানে যাও। কে আটকাচ্ছে?"
আরও পড়ুন, ‘হাজার হাজার মুসলিম সদস্য তৃণমূল কিংবা বিজেপি থেকে কংগ্রেসে এসেছেন’
এই মন্তব্য়ের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন উত্তর প্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলছেন "ঠোক দো", এক বিধায়ক যিনি মন্ত্রী হতে চান, তিনি বলছেন লোকজনের ওপর বোমাবাজি করবেন। একে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া উচিত। এ সন্ত্রাসবাদীদের মত কথাবার্তা বলছে, এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযগ রয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা উচিত।"
সাইনির এ ধরনের বক্তব্য পেশ অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে তিনি বলেছিলেন, যারা গরুকে অশ্রদ্ধা করে তাদের হাড় ভেঙে দেওয়া উচিত। তিনি বলেছিলেন, "আমি প্রতিজ্ঞা করেছি, যারা বন্দে মাতরম বলার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করবে, ভারত মাতা কি জয় বলতে যাদের কষ্ট হবে, এবং গরুকে যারা মা বলতে অস্বীকার করবে কিংবা গোহত্যা করবে, তাদের সবার হাত পা ভেঙে দেব।"
সাইনি একদা এও বলেছিলেন যে, দায়িত্বজ্ঞানহীন নেতারা মুসলমানদের এ দেশে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। সাইনির বক্তব্য ছিল, "দেশভাগের সময়ে, মুসলমানদের জন্য এ দেশের হিন্দুরা সমস্যার মুখে পড়েন। যদি মুসলমানদের এ দেশে রাখা না হত, তা হলে হিন্দুদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি হত।"
Read the Full Story in English