বিতর্ক দানা বাঁধতেই নুপুর শর্মাকে দল থেকে সাসপেন্ড করে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। ভেবেছিলেন দায় ঝেড়ে ফেলা যাবে। কিন্তু, তা হয়নি। নুপুর বিতর্ক এখনও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিজেপিকে। আগাপাশতলা সব ছেড়ে গোটা দেশ এখনও নুপুর বিতর্কেই ঢুকে। রাজ্যে রাজ্যে অশান্তি। আর, তা থামাতে ব্যাপক তোড়জোড়। এসব দেখে আরও সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব। দলের মুখপাত্রদের স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিতর্কিত কিছু বলা যাবে না। বিতর্কসভায় দলের হয়ে কারা যাবেন, তা-ও ঠিক করে দেবে বিজেপির মিডিয়া সেল। সেই নির্দেশও জারি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এতেও শান্তি হয়নি বিজেপি নেতাদের। নুপুর শর্মার মন্তব্যের পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। তারপরও লোকজন নুপুর শর্মাকে বিজেপির মুখপাত্র বলে চারধারে রটিয়ে বেড়াচ্ছে। তাতে নুপুর শর্মা আর নবীন জিন্দলকে সাসপেনশনের পর বিজেপির যে উদার ভাবমূর্তি তৈরির কথা ছিল, তা আর হয়নি। উলটে, বিজেপির গায়ে আগের মতোই হিন্দুত্ববাদী তকমা সেঁটে আছে।
কিন্তু, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে হিন্দুত্ববাদী তকমা নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নারাজ শীর্ষ বিজেপি নেতারা। ২০১৪ সালের 'অচ্ছে দিন'-এর স্লোগানের মতোই এবার মোদী সরকারের করা 'উন্নয়ন'কে সামনে রেখেই ভোটে লড়তে চায় বিজেপি। এমনকী, আরএসএস পর্যন্ত শিবলিঙ্গ নিয়ে আন্দোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ংসেবকদের। খোদ সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত চলতি মাসেই দলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষণ শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, 'মসজিদে মসজিদে শিবলিঙ্গ খোঁজার দরকার নেই।'
আরও পড়ুন- সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ! তবুও কেন রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী দেওয়ার ভরসা নেই বিজেপির?
পাশাপাশি, সংঘ পরিবারের কান্ডারি আরএসএসের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং মথুরার কৃষ্ণজন্মভূমি নিয়ে আন্দোলন ইস্যুতে ধীরে চলার নীতি নিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। এই পরিস্থিতিতে ফের নুপুর শর্মা ইস্যুতে বিজেপিকে সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা গেল। কর্নাটকে বিজেপি নেতৃত্ব দলের নেতা ও মুখপাত্রদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন।
সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, 'যে যাই বলুক, নুপুর শর্মা বিতর্কে ঢুকবেন না। বিতর্ক এড়িয়ে চলবেন। কারণ, বিজেপি সবকা সাথ, সবকা বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে। সবকা বিকাশের অর্থ, সমাজের সবশ্রেণির বিশ্বাস জিতে নেওয়া। আমাদের ভারতীয় মুসলিমরা বাইরের কেউ নন। তাঁরাও আমাদের সংস্কৃতিরই অঙ্গ। তাঁদের পূর্বপুরুষরা একটা সময় হিন্দুই ছিলেন।'
Read full story in English