আসন্ন মইনপুরী লোকসভা উপনির্বাচন বরাবরই সকলের নজরে ছিল। কারণ, এই আসনে আগে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম সিং যাদব প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিজেপি যদি এই কেন্দ্রে জয় পায়, তবে, যাদব ঘাঁটিতে বিজেপির আধিপত্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু, মইনপুরী নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব যখন একপ্রকার নিশ্চিত, সেই সময়ও রামপুর নিয়ে কিন্তু মরিয়া গেরুয়া শিবিরের নেতারা। কারণ, রামপুর একসময় সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খানের ঘাঁটি ছিল।
২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বক্তব্যে হিংসা ছড়ানোয় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে আজম খান। তার বিধায়কপদ খারিজ হয়েছে। তারপরও এই আসনটি যে তারা জিতবেই এব্যাপারে বিজেপি কিছুতেই নিশ্চিত হতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন ঘটিয়ে পাসমান্দা মুসলিমদের পাশে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। অথচ, বিজেপির এত চিন্তিত হওয়ার কারণ ছিল না। চলতি বছরের গোড়াতেই রামপুর এবং আজমগড় লোকসভা আসন জিতে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আজম খান এবং অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পর ওই দুটি আসন ছেড়ে দেন। তার পরই রামপুর, আজমগড় লোকসভা উপনির্বাচন হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শিবাজিকে নিয়ে আলটপকা মন্তব্য রাজ্যপালের, ক্ষোভে ফুঁসছে মহারাষ্ট্র
বিজেপি যদি রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও জয়লাভ করতে পারে, তবে সমাজবাদী পার্টির দুর্গে গেরুয়া শিবিরের আধিপত্য সম্পূর্ণ করবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর রামপুর এবং মইনপুরী কেন্দ্রে উপনির্বাচন। রামপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছে আকাশ সাক্সেনাকে। তিনি গতবার আজম খানের কাছে হেরেছিলেন। আর, এই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অসীম রাজা। তিনি আবার আজম খানের আস্থাভাজন। রামপুরেই লোকসভা নির্বাচনে তিনি আবার বিজেপির ঘনশ্যাম সিং লোধির কাছে ৪২,১৯২-এরও বেশি ভোটে হেরেছিলেন।
১৯৮০ সাল থেকে ১০ বারেরও বেশি সময় রামপুরে জিতেছেন আজম খান। বিজেপি সেই কারণেই রামপুর বিধানসভা কেন্দ্র আরও বেশি করে জিততে মরিয়া। দলের অনেক নেতারই ধারণা, রামপুর বিধানসভাতেও দল জিতলে, এখানে বিজেপির পরিপূর্ণ প্রতিষ্ঠা প্রমাণিত হবে। আজম যুগের অবসান ঘটবে।
Read full story in English