একুশে বাংলার মসনদ থেকে মমতা সরকারকে হঠাতেই হবে- কার্যত এই পণ নিয়েই কোমর বেঁধে মাঠে নামছে বঙ্গ বিজেপি। করোনায় লকডাউন পরিস্থিতি ও ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে বঙ্গবাসীর দূর্দশাকে হাতিয়ার করে এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে ৩টি কৌশল মাথায় রাখা হচ্ছে। এক, করোনায় অনিয়মের ভুরি ভুরি অভিযোগকে সামনে এনে আদালতের দ্বারস্থ হবে পদ্মশিবির। দুই, শাসকদলের বিরুদ্ধে সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করা হবে। তিন, জল-বিদ্য়ুৎ পরিষেবা না মেলায় মানুষের রোষকে কাজে লাগানো।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূল সরকারকে হঠাতেই হবে, এমন পণই নিয়েছে পদ্মবাহিনী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোড়াফুলকে হারাতে পদ্ম প্রতীকের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে উনিশের লোকসভা নির্বাচন। বাংলার ৪২টি আসনের মধ্য়ে সকলকে কার্যত চমকে দিয়ে ১৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। যদিও গত বছরের শেষে তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়াশিবিরে।
আরও পড়ুন: সাধনকে শোকজ তৃণমূলের, কী অভিযোগ প্রবীণ নেতার বিরুদ্ধে?
বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, 'করোনায় লকডাউনের সময় তৃণমূলের নিযন্ত্রণাধীন পুলিশ আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তাঁদের কেন্দ্রে যেতে দিচ্ছে না। আমাদের অনেক সাংসদকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। আমফানের পর ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়ার জন্য় আমাদের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ দু'বার বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু এভাবে আমাদের রোখা যাবে না। আমরা নয়া পরিকল্পনা নিয়ে মানুষের কাছে যাব, তাঁদের বোঝাব যে রাজ্য় সরকার করোনা মোকাবিলায় ব্য়র্থ'।
বিজেপির আরেক নেতা বললেন, 'বুলবুলের মতো আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকাও নয়ছয় করতে পারেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ, এই আশঙ্কার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। চিঠিতে আমাদের রাজ্য় সভাপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন যে সরাসরি যেন অ্য়াকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়'।
আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বণ্টনে কোনও অনিয়ম হচ্ছে কিনা, তা দেখার জন্য় দলের নিচুস্তরের নেতা-কর্মীদের কাজে লাগানো হয়েছে। এক নেতার কথায়, কোনও অনিয়ম চোখে পড়লে তা সোশ্য়াল মিডিয়ায় তুলে ধরবে দলের আইটি সেল। এ বিষয়ে দিল্লির শীর্ষ নেতৃত্বকে রিপোর্টও দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য় নেতৃত্বকে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন