দুয়ারে ভোট। বাংলা দখলে কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়েছে পদ্ম বাহিনী। প্রতি মাসেই নিয়ম করে বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। চলতি মাসের শেষেই ফের আসছেন অমিত শাহও। রোড শো থেকে জনসভা, দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক, কিছুই বাকি থাকছে না। এই পেক্ষাপটে দিল্লিতে জরুরি তলব করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য গতকালই পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায়। আজ দিল্লি গেলেন গেরুয়া দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভোটের প্রস্তুতি ও আসন্ন শাহী সফরের রূপরেখা নির্ধারণেই এই তলব বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
মকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে যোগ দিতে যেতে বলা হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে। থাকবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।
দিন কয়েক আগেই দিল্লি থেকে ফিরেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তাহলে হঠাৎ কেন এই তলব? বিজেপি সূত্রে খবর, ২০০ আসন জয়ের ঘোষণা করেছেন শাহ-নাড্ডা। লক্ষ্যপূরণে কর্মসূচিও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই কাজ কতদূর এগোচ্ছে এবং ২০০ আসন জয়ে দলের সংগঠন কতটা মজবুত করা গেল তা নিয়েই মুকুল-দিলীপদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন খোদ অমিত শাহ। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে গত লোকসভায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। লোকসভা ফলাফলের নিরিখে বেশিরভাগ বিধানসভাতেই এগিয়ে ছিল গেরুয়া বাহিনী। সেই লিড যাতে ধরে রাখা যায় আজকের বৈঠকে তা বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, ভোটের আগে অন্যান্য দল থেকে বিজেপিতে হেভিওয়েট অনেকেই যোগ দিচ্ছেন। পরবর্তীতেও দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, গেরুয়া শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্বের ছবিও প্রকাশ্যে চলে আসছে মাঝেমধ্যেই। যা ভোটের আগে মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে বলেই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই দলে গোষ্ঠীকোন্দল থামাতেও রাজ্য নেতৃত্বকে এদিন বিশেষ বার্তা দিতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন