রাজ্য়ে লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসনে জয় পাওয়ার পর এবার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগোচ্ছে বিজেপি। বুধবার আইসিসিআর-এ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এক বৈঠকে বসেন। সেখানে হাজির ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা-সহ রাজ্য নেতৃত্ব। দলের লক্ষ্য, রাজ্যে ২ কোটি সদস্য।
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, "ক্ষমতা এলে বিনম্র হওয়া উচিত। আমাদের বিনম্র হতে হবে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের মত উগ্র হলে চলবে না। আমরা দুর্বল নই। হিংসার জবাব দিতে পারি। কিন্তু হিংসার জবাব হিংসায় দিলে জনতা খারাপ নজরে দেখে। যেমন রাজ্যে শাসকদলের অবস্থা।"
এদিন বিজেপির বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল সদস্য বৃদ্ধি অভিযান। বিজয়বর্গীয় জানান, বিজেপির যে কেউ সদস্য হতে পারেন। মিসড কলের মাধ্যমেই মেম্বার হওয়া যাবে। বুথে গিয়ে আরও কাজ করতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি বুথে ২৫ জন করে সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কৈলাশের এদিনের অভিযোগ, "এখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে মানেন না। নীতি আয়োগ মানেন না। নির্বাচন কমিশন মানেন না।" বিজেপি আগেই জানিয়ে দিয়েছে, এই রাজ্যে ক্ষমতায় এলে এনআরসি লাগু করা হবে। এদিন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক জানিয়ে দেন, "অনুপ্রবেশকারীদের নাম তোলা হচ্ছে ভোটার লিস্টে। অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে পাকিস্তান বাংলাদেশ হয়ে অস্ত্র চলে যাচ্ছে জঙ্গিদের হাতে। এসব চলতে পারে না।"
এদিন অন্য একটি অনুষ্ঠানে ১৫০-র বেশি রাজ্য সরকারি কর্মী বিজেপির সরকারি কর্মচারী পরিষদে যোগ দেন। লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অন্যান্য ক্ষেত্রের মতোই রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রেও বিজেপি অনুমোদিত ওই সংগঠনে ভিড় বাড়ছে।