সোমবার কেশিয়ারির সভায় কেন্দ্র সরকারের 'বিভাজননীতি' নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। হনুমানকে দলিত বলে ইতিমধ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নাম না করে সোমবারের সভায় আসলে আদিত্যনাথের মন্তব্যেরই জবাব দিয়েছেন মমতা।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে জামবনির সভাতেও মমতা বলেছিলেন, "বিজেপি 'রাম'-এর নামে আদপে রাবণ ভজনা করে। ওদের রাম থাকলে আমাদের আছে মা দুর্গা"।
যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্য ঘিরে জল্পনার অন্ত নেই বিজেপির মধ্যেই। রক্ষক-ই ভক্ষক হয়েছেন, বিজেপির মধ্যে অনেকেই এমনটা ভাবছেন। অর্থাৎ যাকে কি না হিন্দুত্ববাদের মুখ হিসেবে তুলে ধরেছে বিজেপি, তাঁর মুখেই ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া এমন মন্তব্য!
আরও পড়ুন, রাম রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মমতার ‘নেতা’ মা দুর্গা
ক্ষুব্ধ সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভা নামের এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এই মন্তব্যে বেজায় চটেছেন আদিত্যনাথের ওপর। তিন দিনের মধ্যে আদিত্যনাথকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথা তাঁর বিরুদ্ধে মামলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিজেপি প্রতিমন্ত্রী ওমপ্রকাশ রাজভরও বলেছেন, ভগবানকে জাতপাত দিয়ে বিচার করে ঠিক করেননি মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের অলোয়ারে একটি নির্বাচনী জনসভায় আদিত্যনাথ বলেন, “হনুমান জঙ্গলে থাকতেন। তিনি দলিত ছিলেন। ভারতের সব প্রান্তের মানুষকে তিনি এক করার চেষ্টা করেছিলেন।”, আদিত্যনাথের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভীমসেনা প্রধান চন্দ্রশেখর বলেছেন, দলিত সম্প্রদায়ের উচিত দেশের সব হনুমান মন্দির অধিগ্রহণ করে নিয়ে দলিত পুরোহিত নিয়োগ করা।
যোগী আদিত্যনাথের এমন দাবির পর তফশিলি উপজাতি জাতীয় কমিশনের চেয়ারম্যান নন্দ কুমার সাঁই আবার দাবী করে বসেন, হনুমান, দলিত নন, তফশিলি উপজাতিভুক্ত।
Read the full story in English