লোকসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেল বিজেপি। পদ্মবাহিনীকে অস্বস্তিতে ফেলে বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের বিধায়ক অনীল গোটে। বিধায়ক পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন অনীল। দলে দুষ্কৃতীদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ তুলেই দল ছাড়ার কথা জানালেন অনীল। উল্লেখ্য, গতমাসেই আরেক বিজেপি বিধায়ক আশিস দেশমুখ ইস্তফা দেন ও দল ছাড়েন। নাগপুরের কাটোল কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি।
এনসিপির কয়েকজন নেতাকে বিজেপিতে ঢোকানোর বিরোধিতা করে আসছিলেন অনীল। এদিন অনীল জানিয়েছেন, ‘‘আগামী ১৯ নভেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষকে ইস্তফাপত্র দিচ্ছি। সেদিনই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন। একইসঙ্গে দলও ছাড়ব।’’ মহারাষ্ট্রের ঢুলে কেন্দ্রের বিধায়ক অনীল আরও বলেছেন, ‘‘আমার বিরোধিতা সত্ত্বেও, ঢুলে পুরসভা ভোটের মুখে দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা বিজেপিতে এমন কয়েকজনকে ঢোকাচ্ছে, যাঁরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত।’’
আরও পড়ুন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ঝাঁপাল এনসিপি, কংগ্রেস
এ প্রসঙ্গে অনীল আরও বলেছেন যে, ওই ব্যক্তিরা যদি নির্বাচিত হন, তবে ঢুলে শহরকে শেষ করে দেবেন, কারণ ওঁরা দুর্নীতিগ্রস্ত। তিনি আরও বলেছেন যে, আগামী মাসে ঢুলে পুরভোটে তিনি মেয়র পদের জন্য লড়বেন। ২০০৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন অনীল। এরপর ২০১৪ সালে সে রাজ্যে ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। নকল স্ট্যাম্প পেপার কেলেঙ্কারির ঘটনায় অনীলকে এর আগে গ্রেফতারও করা হয়েছিল।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন এনসিপি প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান অশোক চভন। অশোক চভন বলেছেন যে, সিপিআইএমের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে কংগ্রেস ও এনসিপি। এজন্য তিনি বলেছিলেন,‘‘কারণ মানুষ আমাদের একসঙ্গে চান।’’ অশোক আরও বলেছেন, ‘‘এই আলোচনার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজোট হওয়ার জন্যই আলোচনায় বসার নির্দেশ এসেছে।’’
Read the full story in English