বিধানসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বঙ্গ বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। আবারও গেরুয়া বিধায়কইনাম লেখালেন জোড়া-ফুলে। মুকুল রায়ের পর এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ায় বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তবে দল ছাড়লেও এখনও বিধায়ক পদ ছাড়ার বিষয়ে এ দিন কোনও মন্তব্য করেননি এই বিধায়ক।
Advertisment
সোমবার মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে তৃণমূলের যোগ দেন বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।
কেন পদ্ম পতাকা ছেড়ে রাজ্যের শাসক দলে নাম লেখালেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক? তন্ময় ঘোষের বলেন, "বিজেপি বাঙালি বিরোধী। বাংলাকে ক্রমাগত বঞ্চনা করছে। জোর করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল। পারেনি, ক্রামাগত দেখছি বাঙালি অধিকার, ঐতিহ্য কোনও কিছুকেই ওরা সম্মান দিতে পারে না। তাই বাংলার মানুষের উন্নতি করার জন্য জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয়ের দলে যোগ দিলাম।"
এরপরই গেরুয়া দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তন্ময় ঘোষ। তাঁর দাবি, "বুথ স্তরে সংগঠন বলে কিছু নেই ওদের। ২০০ আসন পাবে না অনেক দিন আগেই বুঝে গিয়েছিল। ফাঁকা গলায় ওদের আওয়াজ বেশি। বিজেপির টিকিটে যাঁরা জিতেছেন তাঁরা নিজেদের ক্যারিশমায় জিতেছেন। এতে দলের কোনও ভূমিকা নেই।"
এ দিন রাজ্যের সবস্তরের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। তাঁর কথায়, "বিজেপি বাংলায় প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়ে ভয় দেখানোই ওদের কাজ। এর বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ। দলমত নির্বিশেষে রাজ্যের সবস্তরের জনপ্রতিনিধিদের বলবো বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের সামিল হওয়া উচিৎ।"
মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, অনেক বিজেপি বিধায়কই এখন জোড়া-ফুলে নাম লেখানোর জন্য দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে
যোগাযোগ রাখছেন।
এ দিকে দলীয় বিধায়কের দলবদলের জন্য "বলপ্রয়োগ" তত্ত্বকে খাড়া করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, "তন্ময় ঘোষকে ভয় দেখিয়েছে তৃণমূল। প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদবাবুকে যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকেও তাতে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছিল। তাই ভয়ে উনি গত কয়েক দিন ধরে দলের কোনও কর্মসূচিতেই যোগ দেননি। দেখা যাবে কি হয়।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন