বিধানসভায় ধুন্ধুমার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে নির্দিষ্ট সময়ে ভাষণই শুরু করতে পারলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভাষণের জন্য প্রায় মিনিট কুড়ি পরও আনুষ্ঠানিকভাবে ভাষণ শুরু করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। শেষ পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে চান তিনি।
এরপরই তাঁকে হাতজোড় করে ভাষণ শুরু করার জন্য একান্ত অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেরুয়া বিধায়কদেরও বিক্ষোভ থামাতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে ঘিরে থাকেন তৃণমূল মহিলা বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধের পর কক্ষ ত্যাগ করেননি রাজ্যপাল। তবে জানা গিয়েছে, ধনকড় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি ডেকে পাঠিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে বলেন, 'হয় নিজেদের আসনে ফিরে যান, না হলে চুপ করে থাকুন। এটাই গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য।'
পুরভোট সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে সরব বিজেপি। একই কারণে এবার রাজ্যপালের সামনে বিধানসভার মধ্যে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই বিক্ষোভেই বাজেট অধিবেশনের প্রারম্ভিক ভাষণ দিতে পারেননি রাজ্যপাল। শেষ পর্যন্ত, ভাষণের শুরু ও শেষ অংশ পড়ে বিধানসভা ছাড়েন রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড়।
পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপি বিধায়করা যা করলেন সেটা নাটক। হেরে গিয়ে নাটক করছে বিজেপি। পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা। আজ যেটা ঘটল সেটা বিধায়নসভায় অভূতপূর্ব ঘটনা। আগে এরকম কখনও ঘটেনি। রাজ্যপালকে ধন্যবাদ কারণ উনি ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইন পড়েছে।'
আরও পড়ুন- পরিকল্পিত বিশৃঙ্খলা, হেরে গিয়ে নাটক বিজেপির: মুখ্যমন্ত্রী