বিএসপি সাংসদ দানিশ আলির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য বিজেপি তার লোকসভা সাংসদ রমেশ বিধুরিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানোর একদিন পরে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে শনিবার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে বিরোধীদের দ্বারা করা 'অস্বস্তিকর মন্তব্য'-র বেশ কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন। এই নেতারা চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য নিয়ে আলোচনার সময় উক্তিগুলো করেছিলেন। যা নিয়ে, 'তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি' গঠন করার দাবি জানিয়েছেন রমেশ। এই প্রসঙ্গে নিশিকান্ত দুবে বলেছেন, সংসদে তাঁদের মন্তব্যের মাধ্যমে যে সাংসদরা অন্য নাগরিকদের উসকে দেন, তাঁদের 'অপরাধের মাত্রা' খতিয়ে দেখা উচিত।
লোকসভার স্পিকারের কাছে একটি চিঠিতে দুবে অভিযোগ করেছেন যে দানিশ আলি সংসদে তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে বিধুরিকে, 'উসকানি দিতে ব্যস্ত' ছিলেন। তাই দুবে বলেছেন যে, এই বিষয়ে আলি এবং অন্যদের দ্বারা উত্থাপিত বিশেষাধিকার লঙ্ঘনের দিকটি, 'বিচ্ছিন্নভাবে প্রয়োগ করা যাবে না। কারণ, অন্যথায় ন্যায়বিচার লঙ্ঘন হবে।' কীভাবে বিজেপির বিধুরিকে বিএসপির দানিশ আলি উসকানি দিয়েছেন, চিঠিতে তা-ও স্পষ্ট করেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে।
তিনি অভিযোগ করেন যে, বিধুরির মন্তব্যের আগে দানিশ আলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অত্যন্ত, 'একটি আপত্তিকর এবং নিন্দাসূচক মন্তব্য করেছিলেন।' মাইক্রোফোন থাকলেও তা ব্যবহার না-করে চিৎকার করে দানিশ আলি বলেছিলেন যে, 'নীচ কে নীচ বলব না-তো কী বলব?' দুবে এই প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন যে, দানিশ আলির ওই মন্তব্য শুনে, 'যে কোনও দেশপ্রেমিক জনপ্রতিনিধিই অশান্ত হয়ে উঠতেন। আর, অস্বস্তিকর শব্দ উচ্চারণ করে দানিশ আলির ফাঁদে পড়তেন। মন্তব্যগুলো এটা নিশ্চিত করার ব্যাপারে যথেষ্ট ছিল।'
এর আগে শুক্রবার বিরোধীরা আলির বিরুদ্ধে কুমন্তব্যের জন্য বিধুরির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্পিকার অবশ্য বিধুরির আপত্তিকর মন্তব্য রেকর্ড থেকে মুছে ফেলেছেন। যদিও ওই বিজেপি সাংসদের বক্তৃতার একটি ভিডিও রেকর্ডিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তার ভিত্তিতে স্পিকারের কাছে লেখা চিঠিতে, আলি বলেছিলেন যে দক্ষিণ দিল্লির বিজেপি সাংসদ বিধুরি তাঁর বিরুদ্ধে, 'ভাদওয়া (পিম্প), কাটোয়া (খৎনা করা), মোল্লা উগ্রবাদী (মুসলিম জঙ্গি), আতঙ্কবাদী (জঙ্গি)'র মত শব্দ ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন- ‘নয়া সংসদ ভবন মোদী মাল্টিপ্লেক্স’, কটাক্ষ জয়রাম রমেশের, ধুয়ে দিলেন নাড্ডাও
এই ঘটনায় বিজেপি বিধুরিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বলে একটি কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব বিধুরির মন্তব্যে, 'ক্ষুব্ধ'। কারণ, বিধুরির ওই মন্তব্য রীতিমতো বিতর্ক তৈরি করেছে। আর, সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে ঐতিহাসিক মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করানো নিয়ে বিজেপির প্রচারকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।