বাংলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের দুই সাংসদ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও শাহের কাছে বিস্তর অভিযোগ জানান বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির আবেদনও করেন এই দুই বিজেপি সাংসদ।
সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন যে, 'বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। আমাদের দলের কর্মীদের মেরে ঝুলিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। তারপর তদন্ত শুরুর আগেই পুলিশ বলে দিচ্ছে এগুলো আত্মহত্যা। তাই আমরা কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারক লিপি দিলাম ও সম্প্রতি বাংলায় দুই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।'
গত বুধবার দিঘায় বিজেপি কর্মী পূর্ণচন্দ্র দাসের দেহ উদ্ধার হয়। তারপরদিন বৃস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপে গৌতম পাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। গৌতম বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। এ দুই বিজেপি কর্মীকেই খুন করে শাসক দল তৃণমূল দেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তবে, সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ দাবি, গরুর সঙ্গে 'অস্বাভাবিক শারীরির সম্পর্ক'কে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের উপহাসেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন গৌতম পাত্র।
এদিকে শুক্রবার পূর্বমেদিনীপুরের মৃত বিজেপি কর্মী পূর্ণচন্দ্র দাসের বাড়িতে যাওয়ার সময় মাঝপথেই পুলিশি বাধার মুখে পরেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাস্তায় দাঁড়িয়েই সায়ন্তন অভিযোগ করে বলেন, 'আগে থেকে জানিয়ে নিহত কর্মীর বাড়িতে যাচ্ছি, তাতেও আটকাচ্ছে পুলিশ।'
অন্যদিকে, রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্ত। এর জন্য সংক্রমণ মোকাবিলায় মমতা সরকারের ব্যর্থতাকেই প্রথম থেকে নিশানা করেছে পদ্ম বাহিনী। বাংলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়েও শাহের কাছে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছেন দুই বিজেপি সাংসদ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের আর্জিও জানান সাংসদরা। এ প্রসঙ্গে সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, 'তৃণমূল আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে অবস্থা রোজই খারাপ হচ্ছে। তাই আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলায় ৩৫৬ ধারা বলবৎ করার দাবি করেছি। সংবিধানের এই ধারাকে ব্যবহার করে রাজ্য সরকারের হাত থেকে স্বাস্থ্যের সঙ্গে যুক্ত পরিষেবাগুলো কেড়ে নেওয়া হোক, এতে বহু মানুষ বেঁচে যাবেন।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন