রাম মন্দির ইস্যুতে এবার ঘরেই ‘চাপে’ পড়ল গেরুয়াবাহিনী। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সরকার কী ভাবছে? এ প্রশ্নই তুললেন বিজেপি সাংসদরা। দ্রুত মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে আরএসএস, শিবসেনারা। সেই ‘চাপ’ সামলানোর আগেই মঙ্গলবার দলের সংসদীয় বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের এহেন প্রশ্নবাণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার দলের সংসদীয় বৈঠকের শেষে সালেমপুরের সাংসদ রবীন্দ্র কুশওয়াহা জানতে চান, রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে কী হচ্ছে? এমন কথাই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন তিন সাংসদ। কুশওয়াহার প্রশ্নে কার্যত সমর্থন জানিয়ে এরপর সরব হন উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন সাংসদ। তাঁদের দেখাদেখি, অন্য রাজ্যের সাংসদরাও এদিনের বৈঠকে মন্দির ইস্যু উত্থাপন করেন। মন্দির নির্মাণের জন্য কি সরকার বিল আনার কথা ভাবছে? এমন কথাই জানতে চান সাংসদ হরিনারায়ণ রাজভর।
আরও পড়ুন, রাম মন্দির নিয়ে অর্ডিন্যান্সে সায় নেই জেডিইউয়ের!
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, রাম মন্দির নিয়ে দলীয় সাংসদদের এহেন প্রশ্ন সামলে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, রাজনাথ সিং সাংসদদের সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। আর্জির সুরে সাংসদদের তোমর শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, মন্দির হোক, এটা সকলেই চান। এ নিয়ে সরকারের উপর যাতে সাংসদরা আস্থা রাখেন, কার্যত সে বার্তাই দেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে কুশওয়াহাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘‘যা বলার তা সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছি। বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আনা ঠিক নয়।’’ কুশওয়াহা স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাতে না চাইলেও আরেক সাংসদ রাজভর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি বৈঠকে ইস্যুটি তুলেছি। কবে বিল আনা হবে, তা সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি। রাজনাথজি আমাদের ধৈর্য ধরতে বলেছেন...মন্দির নির্মাণ করা দরকার। এটা বিশ্বাসের ব্যাপার।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরপ্রদেশের আরেক সাংসদ বলেন, ‘‘বৈঠকে উপস্থিত থাকা সকলেই কুশওয়াহার সঙ্গে এ ব্যাপারে জানতে চান। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।’’
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর ভাষণ দিতে গিয়ে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেছিলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির গড়ার জন্য সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা। প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেই রাম মন্দির গড়ার ব্যাপারে সরকারের সব জট কাটানো দরকার বলে মন্তব্য করেছিলেন ভাগবত। আরএসএসের পাশাপাশি রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও। মন্দির তৈরির জন্য বিল পেশ করার দাবি জানিয়ে গত ২৫ নভেম্বর থেকে অযোধ্যা-সহ ৭টি জায়গায় ধর্মীয় সভার আয়োজন করেছে তারা।
সাড়ে ৪ বছর পার হলেও এখনও অযোধ্যায় মন্দির তৈরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি মোদী। এ নিয়ে কয়েকদিন আগেই সুর চড়িয়েছিলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। নাম না করে মোদীকে ‘কুম্ভকর্ণ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন উদ্ধব।
Read the full story in English