একুশের নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। কিন্তু হাইকমান্ডের নির্দেশ, তাই বিধায়ক পদ ছেড়ে সাংসদই থাকছেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। জল্পনা সত্যি করেই দুই সাংসদ তাঁদের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। দিনহাটার বিধায়ক পদ ছাড়লেন নিশীথ প্রামাণিক, শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগন্নাথ সরকার।
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমনটাই চেয়েছিলেন বলে জানান তাঁরা। সেই নির্দেশ মেনে বুধবার বিধানসভা এসে পদত্যগ করলেন। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় বিজেপির আসন সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে দাঁড়াল ৭৫-এ। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার ৪ সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় পরাজিত হলেও ৫৯ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ।
আরও পড়ুন, বাংলার কোভিড বৈঠকে বাদ মমতাই! জেলা আধিকারিকদের ডাক মোদীর
অন্যদিকে, শান্তিপুর আসনে ১৫৮৭৮ ভোটে জয়ী হন জগন্নাথ সরকার। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা সাংসদ হিসাবেই পেতে চান নিশীথ ও জগন্নাথকে। এই অবস্থায় দিনহাটা ও শান্তিপুর দুই বিধানসভা আসনেই উপনির্বাচন হবে।
কোচবিহার জেলায় ৯ আসনের মধ্যে ৭টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি৷ নদিয়া জেলায় ১৭ আসনের মধ্যে ৯টি আসনে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির৷ নিয়ম অনুযায়ী, আগামী ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও একটা পদ ছাড়তেই হত দুই সাংসদকে।উপনির্বাচনে বিজেপি-ই জয়ী হবে বলে আশাবাদী দুই সাংসদ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন