বিরোধীদের সমালোচনা করতে গিয়ে হামেশাই বিভিন্ন সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'দেশ দেখ রঁহা হ্যায়, এক আকেলা কিতনো পে ভারী পর রঁহা হ্যায়।' যার বাংলা তর্জমা করতে দাঁড়ায়, দেশ দেখছে যে একজন ব্যক্তি কতজনকে সামলাচ্ছেন। সম্প্রতি, রাজ্যসভাতেও একই কথা শোনা গিয়েছে মোদীর গলায়।
সংসদে তাঁর এই কথা বলার কারণ বিরোধীদের চিল চিৎকার। আদানি ইস্যুতে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁদের থামাতেই তাঁর সেই মেঠো ডায়ালগ সংসদ কক্ষে আউড়াতে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী এই কথাটি বলেছেন, যখন মনে হচ্ছিল এবার মোদীই ভুল করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।
বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য বরাবরই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে চরম আত্মবিশ্বাসী। তাঁরা নিশ্চিত, বিরোধীরা এখন থেকেই ২০২৪-এর লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী যে মোদী এই চাপ ঠিকই সামলে নেবেন। আর, আগের দু'বারের মত এবারও গেরুয়া শিবিরের ট্রাম্প কার্ড বলতে সেই মোদীই। এককথায় লড়াইটা, বিরোধীদের সঙ্গে মোদীর। আর, এবারের নির্বাচনের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্বের মত শব্দগুলো। পালটা, বিজেপি তথা কেন্দ্রের শাসক দলের প্রচারের মুখ্য বিষয় হবে মোদী সরকারের প্রকল্পগুলো।
আরও পড়ুন- ‘আদানির ব্যাপারে প্রশ্ন করেছিলাম, প্রধানমন্ত্রী উলটে আমার পদবি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন,’ কটাক্ষ রাহুলের
বিজেপি এর আগে মোদীর নেতৃত্বে দুটি লোকসভা নির্বাচনে জিতেছে। দুটির মধ্যে দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে তারা মোদী সরকারের প্রকল্পের প্রচারে জোর দিয়েছিল। জনসাধারণের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছিল যে প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এদেশে ধর্ম বিচার্য নয়। যে কোন ধর্ম, গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের ভাষাতেই এটাকে বলে, 'সম্পৃক্ততার রাজনীতি।'
উত্তরপ্রদেশের মতো সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় এই সব প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রচার ব্যাপক কাজে দিয়েছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলোর 'লাভার্থী' বা সুবিধাভোগীদের বিজেপি দল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভোটার হিসেবে দেখে। বিজেপির প্রতিটি মোর্চাকে তাই এখন কর্মশালা, শিবির এবং সভা সংগঠিত করতে বলা হয়েছে। যাঁরা সুবিধাভোগী, তাঁদের নিয়ে এবং প্রকল্পগুলো সম্পর্কে লিখিত বিবরণ ও শর্ট ফিল্ম তৈরি করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলো নিয়ে প্রচার চালাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Read full story in English