নির্বাচনের দিন ঘোষণার রাতেই বিজেপির রথ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে মানিকতলার কাদাপাড়া এলাকার গুদামে রাখা বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এই হামলায় কাঠগড়ায় শাসক দল তৃণমূল। ভাঙচুরের পাশাপাশি গাড়িগুলোর মধ্যে থেকে এলইডি স্ক্রিন, মোবাইল ও ল্যাপটপ চুরিরও অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির।
Advertisment
প্রচারের গাড়ি ও সামগ্রী রাখার জন্য কাদাপাড়া এলাকায় একটি গুদাম ভাড়া নিয়েছে বিজেপি। গতকাল গভীর রাতে সেখানেই হামলা চালায় জনা কুড়ি জনের দুষ্কৃতি দল। ভাঙচুর করা হয় পরিবর্তন যাত্রা ও প্রচারের ট্যাবলো গাড়িগুলোতে। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন গুদামের নিরাপত্তা রক্ষী, গাড়ির চালক, খালাসি-সহ বেশ কয়েকজন। দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত বলে দাবি বিজেপির।
রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। ফুলবাগান থানায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে বিজেপি। সিসিটিভি খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
রাজ্য বিজেপির সম্পাদক সব্যসাচী দত্ত। ফুলবাগান থানার পুলিশের মদতেই এই হামলা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, 'পুলিশের মদতেই এই হামলা করেছে তৃণমূল গুন্ডারা। আদর্শ আতরণ বিধি লাগু হয়েছে। কমিশনকে সব জানাব।'
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য টুইটে লিখেছেন, 'তৃণমূলের দ্বারা সংগঠিত রাজনৈতিক হিংসার সংস্কৃতিদরুন কমিশনের কাছে এই নির্বাচন পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে।বাংলার মানুষ এর বিরুদ্ধে জবাব দেবে।'
এই হামলার ঘটনার সঙ্গে কেন তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের শাসক দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন