চার কেন্দ্রের বিধানসভা ভোটে গোহারা হেরেছে বিজেপি। হাতছাড়া হয়েছে ৬ মাস আগে বিধানসভা ভোটে জেতা দুই আসনও। তিন কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পরাজয় মেনে নিচ্ছেন গেরুয়া দলের বঙ্গ নেতৃত্ব। কিন্তু, ভাঙলেও মচকাবেন না তাঁরা। হার স্বীকার করে নিলেও এই ফলাফলের জন্য শাসক দলের সন্ত্রাসের তত্ত্বকেই ঢাল করলেন দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্যরা।
উপনির্বাচনে পরাজয়ের জন্য একমাত্র কারণ তৃণমূলের ভয় দেখানো, সন্ত্রাস। মঙ্গলবার বিকেলে দলের শোচনীর হারের পর সাফ জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'সার্বিকভাবে যে ভোট হয়েছে, আর বিরোধিরা যে শতাংশের ভোট পেয়েছেন এরপর বাংলায় কোনও উপনির্বাচন হলে তৃণমূল পুরো ভোটটাই পাবে। চিনের স্টাইলে ভোট হবে। হয়তো বিরোধিরা প্রার্থীই দিতে পারবে না। দিনহাটায় প্রচার থেকে শুরু করে মিটিং করতে দেওয়া হয়নি। গোসাবায় কেউ বিজেপিকে ভয়ে কেই গাড়ি দিতে রাজি ছিল না। এভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলে না।'
কিন্তু, জেতা আসন হাতছাড়া, তিন কেন্দ্রে জমানাত বাজেয়াপ্ত। মন্ত্রীর বুথেই হারলেন দলের প্রার্থী। এই পরিস্থিতি কী ভেবেছিল বিজেপি। জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ভোটই যদি না হয়, তাহলে তথ্য দিয়ে কী লাভ? বোঝা যাচ্ছে শোভনদেববাবুর থেকে দিনহাটা ও গোসাবার প্রার্থীরা বেশি প্রভাবশালী। সুতরাং ভোটই হয়নি। মানুষ রায় দিতে পারেনি। তাই জমানাত বাজেয়াপ্ত নিয়ে ভেবে লাভ নেই। লোকসভার পর তিনটে উপনির্বাচন হয়েছিল। পরে বিধানসভা ভোটে আবার জিতেছি। বাংলায় এটাই রীতি। আর নিশীথবাবুতো ভোট দিয়েছেন মাত্র। ভোটটাই তো দিতে দিচ্ছিলো না। তাই এই ফলাফলে খুব একটা ভাবার কিছু নেই। আর আমরাও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রতিরোধ করতে পারিনি।'
বামেদের ভোট বেড়েছে। এই প্রসঙ্গে দলের প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির দাবি, 'তৃণমূল চাইছে সিপিএম, কংগ্রেস টিম টিম করে জলুক, না হলে একতরফা বিরোধী হবে বিজেপি। তাই ওদের সহায়তা করেছে শাসক দল। আর অনেকেই ভেবেছিলেন আমরা ক্ষতায় আসবো। এদের মদ্যে বাম, কংগ্রেসীরাও ছিল। কিন্তু, না আসায় ওই সব ভোটারাই আর বিজেপিকে নয়, পুরনো দলকেই ভোট দিয়েছে। তাই ওদের ভোট একটু বেড়েছে।'
দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, 'বিজেপি গেরেছে। আমরা পরাজিত। কিন্তু এkজন প্রার্থী জিতছেন ১.৬৩ লক্ষের বেশি ভোটে। সেই কেন্দ্রে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১১ শতাংশ ভোট। ফলে এই ফলাফল আদতে ভোটারদের রায় প্রতিফলিত হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আশা করব একদলীয় আগ্রাসণের বিরুদ্ধে আগামিতে মানুষ গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন