রথ টানতে না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল হাওড়ায়। জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা ছড়াল। জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রথযাত্রা কর্মসূচির অনুমতি না মিললে আইন অমান্যের পথেই তাঁরা হাঁটবেন বলে এদিন কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, পুলিশকে আবারও একবার এক হাত নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বুধবার পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে দিলীপ বলেন, "পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে, এসব মামলা লড়ে আমাদের কর্মীরা প্রচুর টাকা নষ্ট করছেন। দিন বদলালে পুলিশের থেকে চাঁদা তুলে সেই টাকা উশুল করব।"
আরও পড়ুন: বিজেপি-র রথযাত্রা রাজনৈতিক না সাম্প্রদায়িক স্পষ্ট নয়, হাইকোর্টে সওয়াল রাজ্যের
আইন অমান্য কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সিআমরা জানি আমাদের আইন অমান্য কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু আমরা বড় সমস্যায় পড়েছি। আমাদের সভা, মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না...বাধ্য হয়েই আমরা রাস্তায় নেমেছি। যদি সরকার আমাদের সভা করার অনুমতি না দেয়, তবে আমরা এই কর্মসূচি ফের করব।" তাঁর আরও ক্ষোভ, অন্য রাজ্যের নেতাদের যেখানে এ রাজ্যে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বিজেপিকে রোখা হচ্ছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, "বাকি রাজনৈতিক দলগুলোকে এখানে সভা, মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে...এমনকি, বাংলাদেশের মুসলিম ধর্মগুরুদেরও এখানে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।"
অন্যদিকে, রাজ্যে বিজেপি-র রথযাত্রা আদৌ হবে কি না, বুধবারও সে প্রশ্নের নিষ্পত্তি হল না কলকাতা হাইকোর্টে। আজই রথযাত্রা নিয়ে রায় দেবে হাইকোর্ট। আজ বিজেপি ও রাজ্য সরকারের বক্তব্য শোনার পর এই মামলায় রায় দেবেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। রায় ঘোষণার আগে বিজেপি বলার সময় পাবে ১৫ মিনিট। রাজ্যের বক্তব্যের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ১০ মিনিট। বুধবার দুপুর বারোটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত এই মামলার সওয়াল চলে বিচারপতি চক্রবর্তীর বেঞ্চে। বুধবার লালবাজারে রাজ্য সরকার-বিজেপি বৈঠকের সিডিবন্দি ভিডিও আদালতে জমা দেয় সরকার।
Read the full story in English