রথ নিয়ে রাজ্য ও জেলা বিজেপি-র সমস্যার শেষ নেই। তিন জেলা থেকে রথযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু সে যাত্রার ব্যবস্থা এখনও বিশ বাঁও জলে। আর এক সপ্তাহও বাকি নেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বিজেপি নির্ধারিত রথ যাত্রার। সে সময়েই ফের বদলে গেল রথযাত্রা শুরুর ভেনু। গঙ্গাসাগর থেকে রথ বেরোচ্ছে না বিজেপি-র। নদী পেরোনোর ঝক্কি এড়াতে যাত্রা বদলে রথ বেরোবে নামখানা থেকে।
কথা ছিল কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে রথযাত্রার সূচনা হবে। সেখান থেকে কচুবেড়িয়া এসে সে রথ সেখানে রেখে ভেসেলে নদী পেরোবেন গেরুয়া বাহিনীর সদস্যরা। তারপর নতুন রথ যাত্রা শুরু করবে ৮ নং লট থেকে। সেখান থেকে নামখানা হয়ে কাকদ্বীপ পর্যন্ত যাত্রা হবে, এমনটাই স্থির ছিল।
আরও পড়ুন, তৃণমূলে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদের সিপিএম বিধায়ক
কিন্তু তা হচ্ছে না। বিজেপি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) সংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস এসবের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, "আমরা প্রথমে অমিত শাহের সভা কাকদ্বীপ স্টেডিয়ামে করার জন্য আবেদন করেছিলাম, সেখানে না হলে কাকদ্বীপ বিধান ময়দানে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। এক সপ্তাহ ঘোরানোর পরেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে জায়গা পরিবর্তন করে নামখানা রেল ময়দানে করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "গঙ্গাসাগরে পুজো দিয়ে ওখানে একটা উপ-রথ বার করা হবে।"
তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, "সভায় যাতে মানুষ না আসতে পারেন তার জন্য ওদের পক্ষ থেকে এলাকায় গাড়ির সমস্ত ইউনিয়নগুলোকে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।" তাঁর দাবি, "এসব করে মানুষকে ওরা আটকে রাখতে পারবে না। তৃণমূল দলটা সভ্যতার বিরোধী, বিবর্তনের বিরোধী।"
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শক্তিপদ মণ্ডল বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, "বিজেপি দলটায় এই রাজ্যে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা মিথ্যাবাদী। বিজেপি ওদের উপরে ভরসা করলে এই রাজ্যে ওদের ভরাডুবি হবে।"
তৃণমূল দল সম্পর্কে অভিযোগের পাল্টায় তিনি বলেছেন, "ওদের নেতারা কেউ বাচ্চা চুরি করে, কেউ গরু চুরি করে। তাদের কাছ থেকে আমাদের সভ্যতা শিখতে হবে না।"