আবারও রাহুল গান্ধীর নিশানায় গেরুয়া শিবির। একযোগে বিজেপি-আরএসএসকে তুলোধনা কংগ্রেস নেতার। “বিজেপি ও আরএসএস উভয় সংগঠনই আসলে হিন্দুত্বের নামে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।”, দু'দিনের জম্মু সফরের শেষ দিনে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভায় এমনই মন্তব্য করেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, “জম্মুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির উপর আঘাত করছে ওই দুই সংগঠন।”
দু'দিনের জম্মু সফরের শেষ দিনে শুক্রবার দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা করেন রাহুল গান্ধী। উপত্যকায় দলের কাজকর্ম নিয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেন রাহুল। জম্মুর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বিজেপি ও আরএসএস-এর জন্য জম্মুর সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ রাহুলের। গেরুয়া শিবিরকে বিঁধতে গিয়ে এদিন হিন্দুদের দেব-দেবীদের প্রসঙ্গ তোলেন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস নেতা এপ্রসঙ্গে বলেন, “দুর্গা প্রতিবাদের শক্তির প্রতীক। লক্ষ্মী লক্ষ্যপূরণের প্রতীক। সরস্বতী জ্ঞান অর্জনের প্রতীক। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করেছে। কৃষি আইন, নোটবন্দি, জিএসটি এনেছে। আরএসএস এবং অন্যান্য ডানপন্থী সংগঠনের নেতাদের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের মাথায় বসিয়েছে। এতেই এই সব শক্তি যেন দুর্বল হয়ে পড়েছে।”
আরও পড়ুন- সম্প্রীতি নষ্ট, কোভিড বিধি লঙ্ঘন! ওয়েসির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা উত্তর প্রদেশে
এদিন মাত্র ১৯ মিনিটের বক্তৃতায় বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন রাহুল। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন উপত্যকা থেকে ধারা ৩৭০ প্রত্যাহারের বিষয়টি সযত্নে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এদিন কাশ্মীর এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে তাঁর পূর্বপুরুষদের পুরনো সংযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন রাহুল গান্ধী। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, যখনই তিনি জম্মুতে যান তাঁর নিজের বাড়ির কথা মনে পড়ে। বৃহস্পতিবার বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে গিয়েছিলেন রাহুল।
Read full story in English
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন