বঙ্গ বিজেপির বিড়ম্বনা বেড়েই চলেছে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে জলের বিক্ষুব্ধ নেতারা। কাকতালীয়ভাবে তাঁরাই বৈঠকে গিয়েছিলেন যাঁদের আপাতত দলের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে বিজেপি।
রবিবার রাতে সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিরা বৈঠক সারেন শান্তন ঠাকুরের সঙ্গে। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সায়ন্তনদের সেই বৈঠক নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তবে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ অবশ্য বৈঠকটিকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ''কার বাড়িতে কে বৈঠক করবেন তা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। শান্তুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে যে কেউ দেখা করতে যেতেই পারেন।''
রাজ্য বিজেপিতে দ্বন্দ্ব-অভিমানের পালা চলছেই। দিন কয়েক আগেই বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন দলের চার মতুয়া বিধায়ক। দলের নয়া রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধি নেই বলে অভিযোগ তুলে কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার পাঁচ বিজেপি বিধায়ক বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়েও যান। পরে একজন গ্রুপে ফিরলেও বাকিরা ফেরেননি। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন।
এদিকে, রবিবার ঠাকুরনগরে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বাড়িতে দেখা যায় বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের। যাঁদের মধ্যে ছিলেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি। বেশ কিছুক্ষণ শান্তনুর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। যদিও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে কিছু বলতে রাজি হননি সায়ন্তন, জয়প্রকাশরা।
আরও পড়ুন- কোভিডবিধি শিকেয়, প্রচারে থিকথিকে ভিড়, গ্রেফতার বিজেপি বিধায়ক
তবে গতকালের এই বৈঠক নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের বিক্ষুব্ধ এই নেতাদের বৈঠককে সেভাবে গুরুত্ব দিতে নারাজ মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তাঁর কথায়, ''কে কার বাড়িতে বৈঠক করবে তা নিয়ে আমার কী বলার আছে। শান্তনু এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে যে কেউ দেখা করতেই পারেন। সৌজন্যের রাজনীতি এটা। এতে খারাপ কিছু নেই।''