যুদ্ধে নামার আগেই নির্বাচন কমিশন কাজটা সহজ করে দিয়েছে। বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে ও নাতি উদ্ধব আর আদিত্যদের কাছে আর শিবসেনার প্রতীক তির-ধনুক থাকছে না। খোলাখুলি জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর, এতেই অর্ধেক যুদ্ধ যেন জিতে গিয়েছে শিণ্ডের সেনা ও বিজেপি। এমনটাই মনে করছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতৃত্ব।
উদ্ধব ঠাকরে ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মন্তব্য করেছিলেন, 'চোট দিল মে লাগি হ্যায়।' সেই চোট বা আঘাত উদ্ধবকে ফিরিয়ে দিতে পেরে স্বভাবতই এখন খুশি মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি-শিবসেনা জোট সরকারের সংযোজক। কমিশনের ঘোষণার পর ঘনিষ্ঠমহলে তিনি সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন।
এতদিন শিবসেনার প্রতীক দেখে যাঁরা সেনাকে ভোট দিতেন, তাঁরাই এবার নির্দ্ধিধায় ভোট দেবেন শিণ্ডেদের। কারণ, শিণ্ডে বাহিনীকেই শিবসেনার নাম আর প্রতীক দিয়েছে কমিশন। এতে উদ্ধবদের শক্তি এমনিতেই অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্রবাসীকে তাদের 'জ্বলন্ত মশাল' প্রতীক চেনাতে আপাতত নাকানিচোবানি খেতে হবে উদ্ধব-আদিত্যদের। এমনটাই ধারণা বিজেপি নেতাদের।
ম্যাচে না-নামতেই জেতার মত এখন তাঁদের ধারণা, এখনই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন হলে অর্ধেকের বেশি আসন তাঁরা এমনিতেই জিতে যাবেন। কোনও রাখঢাক নেই। কমিশনের নির্দেশ সামনে আসতেই এখন খোলাখুলি এসব কথা বলে দিচ্ছেন মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতা-নেত্রীরা। তার মধ্যে আবার উদ্ধবদের কাজটা আরও কঠিন করে দিয়েছে ঠাকরে পরিবারের অভ্যন্তরীণ অশান্তি। মাতুশ্রীতে আগেই ভাঙন ধরেছিল রাজ ঠাকরে নবনির্মাণ সেনা গড়ার পর।
আরও পড়ুন- আবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছেন! অশান্তিপ্রিয় কিমের উৎপাতে সন্ত্রস্ত জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া
এবার ভাঙন আরও চওড়া করে শিণ্ডের কাছে গিয়ে তাঁকে সমর্থনের কথা জানিয়ে এসেছেন বালাসাহেব ঠাকরের বড় নাতি তথা বালাসাহেবের বড় ছেলে বিন্দুমাধবনের বড় পুত্র নীহার ঠাকরে। তিনি আবার পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। শুধু তাই নয়, গত সপ্তাহেই বালাসাহেবের ছোট ছেলে সপরিবারে শিণ্ডেদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সাক্ষাৎপর্বে তাঁরা শিণ্ডেরাই প্রকৃত শিবসেনা বলে সার্টিফিকেট পর্যন্ত দিয়ে এসেছেন। যার ফলে, ২০২৪-এর লোকসভা পর্বের আগেই মহারাষ্ট্র বিজেপির মুখে এখন জয়ের হাসি।
Read full story in English