KMC Poll 2021 Update: কলকাতা পুরভোটে ভোটপ্রাপ্তির হারে দ্বিতীয় স্থানে বামেরা। প্রায় ৬০টির বেশি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে বাম প্রার্থীরা। প্রায় ১২% ভোট পেয়ে বামেদের কাউন্সিলর সংখ্যা দুই। তৃতীয় স্থানে বিজেপি, প্রায় ৯% ভোট পেয়ে কাউন্সিলর সংখ্যা তিন। ৫%-এর কম ভোট পেয়ে দু’জন জয়ী প্রার্থী কংগ্রেসের।
তাই ভোট গণনার দিনের শেষে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ‘একুশের ভোটের ৬-৭ মাসের মাথায় পুরভোট। আর তাতেই বিরোধী রাজনীতির ময়দান থেকে অনেকটা সরে গেল বিজেপি। ২০১৫-এর ভোটপ্রাপ্তি এবারও বজায় রেখেছে বাম দলগুলো। এই ভোটে অন্তত বিগত ভোটগুলোর মতো রক্তক্ষরণ হয়নি।‘ আর এখানেই তৃণমূল এবং বামেদের আঁতাতের প্রসঙ্গ তুলে সরব রাজ্য বিজেপি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার এবং শমীক ভট্টাচার্য। তাঁদের অভিযোগ, ‘তৃণমূল বামেদের রাজ্যে বিরোধী শক্তি হিসেবে তুলে আনতে চাইছে। বিধানসভা ভোটের সময় নো ভোট টু বিজেপি প্রচার করে তৃণমূলের সুবিধা করে দিয়েছিল বিজেপি। সেই প্রতিদানে এবার কয়েকটি আসন বামেদের পাইয়ে দিল শাসক দল।‘
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘আমাদের কাছে খবর রয়েছে, যে বুথগুলোয় ছাপ্পা হয়েছে, সেখানে তিনটি ভোট তৃণমূল পেলে, দুটি পেয়েছে সিপিএম-এ।‘ এখানেই থামেনি গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির এই দুই হেভিওয়েট নেতার আরও মন্তব্য, ‘ভোটের দিন যে দৃশ্য চোখে পড়েছে, যেভাবে ভোট করানো হয়েছে, তাতে এই ফল মানুষের রায়ের প্রতিফলন নয়।‘
এদিন কটাক্ষের সুরে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কলকাতা পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিজেপি। তাঁদের খোঁচা, ‘অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের নামে যেখানে অবাধে ছাপ্পা এবং ভোট লুঠ চলেছে, সেখানে বিরোধী প্রার্থীদের এগিয়ে থাকা যথেষ্ট বিস্ময়ের।‘ তবে আগামি দিনেও মানুষের স্বার্থে পথে থাকবে বিজেপি। এমনটাই হুঁশিয়ারি দেন দলের দুই হেভিওয়েট নেতা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন