Bengal Assembly: রাজ্যে অবিলম্বে বন্ধ হোক মদ বিক্রি। বুধবার এই দাবিতে বিধানসভার বাইরে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্ব বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পেট্রোপণ্যের উপর থেকে ভ্যাট কমানোর দাবিতে আলোচনা চেয়ে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু পুরো প্রস্তাব পড়তে না দিয়ে খারিজ করা হয়েছে সেই প্রস্তাব। এই অভিযোগ এদিন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। এই প্রতিবাদে বুধবার বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করে বিজেপি।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘পেট্রোলের উপর ভ্যাট না কমিয়ে মদের দাম কেন কমানো হচ্ছে? মদের দাম কমিয়ে যুব সমাজকে বিপথে চালনা করা হচ্ছে। ওরা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছেন। শাসক দল কথায় কথায় উত্তর প্রদেশ, গুজরাত প্রসঙ্গ তোলে। কিন্তু গুজরাতে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ, সঙ্গে চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। মদ বিক্রির সঙ্গে উন্নয়ন কাজ স্তব্ধ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি চায় এই রাজ্যেও নিষিদ্ধ হোক মদ বিক্রি।‘
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আরও সুর চড়িয়ে বলেছেন, ‘গ্যাসে ১০০ টাকা ন্যূনতম আর পেট্রোল-ডিজেলে ১২ টাকা রাজ্যের সেস কমাতে হবে। বিজেপির সব বিধায়ক আমাদের সেই দাবি করছে। এর জন্য আমরা মুলতুবি প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ওরা পড়ার সুযোগ দিয়েছিল, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভুল-ত্রুটি বের করে আলোচনার সুযোগ করে দেয়নি। বিধানসভা জনগণের জায়গা। তাও জনস্বার্থে, বাংলার স্বার্থে কোনও দাবি পেশ করার সুযোগ নেই। ওরা বুদ্ধবাবুর মতোই সংখ্যার জোর দেখায়। বুদ্ধবাবু যেমন বলেছিলেন আমরা ২৩৫, ওরা ৩০। ৩০ জন মিলে ঠিক করবে, আমরা কী করব, না করব? সেভাবেই তাপস রায় গতকাল বলেছেন, আমরা ২০০ জন মিলে চিৎকার করলে তোমাদের কেউ শুনতে পাবে না।‘
এদিকে, স্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে। শুভেন্দু অধিকারীকে আগেই রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিরোধী দলনেতাকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কড়া কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ই বহাল রাখল। স্বাভাবিকভাবেই ডিভিশন বেঞ্চের এই রায়ে বেশ স্বস্তিতে শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের পাঁচটি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তবে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, সেই মামলাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই করা হয়েছিল। তাঁকে হেনস্থা করতে চক্রান্ত করে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা সাজানো হয় বলে দাবি তাঁর।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা খারিজের আবেদন জানান। মামলা খারিজ না হলে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানান তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে এই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া রায়ে এর আগেও স্বস্তি মিলেছিল শুভেন্দুর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন