মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্ণাটকে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ৪০% কমিশনের ভিত্তিতে ঠিকাদারি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। তারপর থেকেই বেঙ্গালুরুর রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ঠিকাদাররা। উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত তৎকালীন বিজেপি সরকারের জমানায় বেঙ্গালুরুতে বাস্তবায়িত সমস্ত নাগরিক পরিকাঠামো চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। এখনও ঠিকাদাররা কর্ণাটক সরকারের থেকে বেঙ্গালুরুর উন্নয়নের কাজ করার জন্য ৭১০ কোটি টাকা পায়।
কিন্তু, কাজের গুণমান খতিয়ে না-দেখে সেই বিল পরিশোধ করতে নারাজ কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। পাশাপাশি তিনি বেঙ্গালুরুর জনপ্রতিনিধি। তাঁর দাবি, যে কোনও অর্থ দেওয়ার আগে ঠিকাদারদের করা কাজের গুণমান পরীক্ষা দরকার। যাতে, যে কাজ ঠিকাদাররা শেষ করেননি, ভুল করে তার অর্থও যেন ঠিকাদারদের দিয়ে না-দেওয়া হয়।
এসব দেখে বিজেপি এবং জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) আর কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন যে শিবকুমারের প্রস্তাবটি আসলে কমিশন খাওয়ার ছক। বিজেপি নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসনের শাসনকালে হওয়া দুর্নীতির অভিযোগকে ব্যবহার করে তিনি ও তাঁর সরকার ঠিকাদারদের থেকে কমিশনের অংশ আদায় করতে চান। একে কংগ্রেস সরকারের কৌশলগত চক্রান্ত বলেও অভিযোগ করেছে বিজেপি।
তা বিরোধীরা সে যাই বলুক, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া কিন্তু শিবকুমারকেই সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন যে সরকার বিজেপির আমলে বাস্তবায়িত চুক্তিগুলো নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থ প্রদানের আগে কাজের গুণমান এবং বাস্তবায়নের পরিস্থিতির ব্যাপারে সরকারের কাছে বিস্তারিত তথ্য থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- ‘নুহ’-কাণ্ডে হিন্দু মহাপঞ্চায়েতের বৈঠক, ভয়ংকর দাবি পেশ, হিংসার শঙ্কা বাড়িয়ে মিছিলের সিদ্ধান্ত
কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ প্রথমবারের মতো উত্থাপিত হয়েছিল যখন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডি (এস) নেতা এইচডি কুমারস্বামী ৪ আগস্ট বলেছিলেন, '২৬টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে পুরোনো চুক্তির বাস্তবায়নের পরীক্ষা করার প্রস্তাবটি কংগ্রেস সরকারের নতুন প্রচেষ্টা। এটা আসলে তাদের কমিশন খাওয়ার ছক। কর্ণাটকের এই কংগ্রেস সরকার ২০১৯-২০ সালের জন্য ১০%, আর ২০২০-২১ অর্থবর্ষের চুক্তির জন্য ঠিকাদারদের থেকে ১৫% অর্থ বা কমিশন চেয়েছে।