Advertisment

১৮ জন সাংসদ, কেন মাত্র দুজন মন্ত্রী? কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দরবার দিলীপ ঘোষের

"আমি শুনিয়ে এসেছি, ১৮-তে দুজন একটু কম হচ্ছে। দলের সংগঠন সম্পাদক রামলালজিকে বলে এসেছি। বাকি নেতৃত্ব ব্যস্ত ছিলেন। তবে বাংলার ব্যাপারে সবাই উচ্ছ্বসিত।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dilip ghosh, দিলীপ ঘোষ

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপির দুজন প্রার্থী সংসদে পা রেখেছিলেন। পরবর্তীতে কেন্দ্রে সেই দুজন সাংসদই মন্ত্রী হয়েছিলেন। এবার সাংসদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। তাঁদের মধ্যে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ফের মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু পূর্ণমন্ত্রী নন। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী মন্ত্রী হয়েছেন। ১৮ জন সাংসদের মধ্যে মাত্র দুজন সাংসদের কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী হওয়াটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি। কী বলছেন দিলীপবাবু?

Advertisment

শুক্রবার দলের রাজ্য দপ্তরে দিলীপ ঘোষ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, "পশ্চিমবাংলার আপাতত দুজন সাংসদকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে মনে করছি।" ১৮ জনের মধ্যে মাত্র দুজন কেন? তিনি বলেন, "আমি শুনিয়ে এসেছি, ১৮-তে দুজন একটু কম হচ্ছে। দলের সংগঠন সম্পাদক রামলালজিকে বলে এসেছি। বাকি নেতৃত্ব ব্যস্ত ছিলেন। তবে বাংলার ব্যাপারে সবাই উচ্ছ্বসিত। প্রত্যাশা আছে, হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। বাংলার গুরুত্ব বাড়বে।"

লাভপুরের বিতর্কিত তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই নিয়ে দলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। নেতৃত্ব কী ভাবছেন? এমন ধরনের নেতাদের দলে যোগ দেওয়া নিয়ে যে রাজ্য নেতৃত্বের দুশ্চিন্তা রয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ সভাপতি।

তাঁর বক্তব্য, "এখনও যাঁদের বিরোধিতা করছি তাঁরাও আগামী দিনে দলে আসতে পারেন। অনেক নেতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যেমন অভিযোগ আছে, আমাদেরও আছে। রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় অনেক কিছু হয়, আবার শুধরেও যায়। একটু অপেক্ষা করুন। দুশ্চিন্তা সবার মধ্যে আছে। এটাও 'পার্ট অব দ্য গেম'। তাদের হজম করব। আমাদের মত ব্যবহার করব। তা নাহলে দল বাড়বে কী করে? পার্টি ক্ষমতায় আসবে কী করে?" তিনি স্বীকার করেছেন, "পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে মাসল পাওয়ার, ম্যানপাওয়ার দরকার পড়ে। তবে যে সংস্কৃতি আছে সেভাবে ব্যবহার করবে। আমাদের সংস্কৃতিতে আমাদের মত ব্যবহার করবে।"

তাঁর নৈহাটির যাত্রাপথে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনে ভাটপাড়ায় একদল মানুষ 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দেওয়ায় বিতর্ক দেখা দেয়। তাঁদের বেশ কয়েকজনকে পুলিশ আটক করে বলে বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "এরপর রাস্তায় বেরোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয় শ্রীরাম বলে স্বাগত জানাবেন। কতজনকে কী করবেন? মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তা দেখে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে তিনি কতটা প্রকৃতিস্থ আছেন। কেউ কাউকে জয় শ্রীরাম বললে গালাগাল করতে হবে, এই ধরনের কল্পনা কখনও করি নি। রাজ্যে ভাষা নিয়ে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন তিনি।"

বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব ও বেশ কিছু জেলার নেতা এবার সাংসদ হয়েছেন। তাছাড়া নির্বাচনের বছর বলে সংগঠনে পরিবর্তন করে নি বিজেপি। দিলীপবাবু জানিয়েছেন, দলের সংগঠনে পরিবর্তন হবে। জেলার সাধারন সম্পাদক, সভাপতিরা সাংসদ হয়েছেন। তার ফলে রদবদল হবে। দুু-চারদিনের মধ্যে বৈঠকে বসে ঠিক হবে। নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে দিলীপের বক্তব্য, "পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"

bjp Mamata Banerjee dilip ghosh
Advertisment