আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রয়েছে বেশ কয়েক রাজ্যে ভোট। সেকথা মাথায় রেখে আগামী ৩ জুলাই মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করবেন। পাশাপাশি, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতারা জোনভিত্তিক ভাবে বৈঠক করবেন। যা নির্বাচনগুলোর আগে বিজেপির পুনর্গঠনের শেষ বড় চেষ্টা হতে চলেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপির জাতীয় ও রাজ্য ইউনিটে সম্ভাব্য পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছে।
সেসব নিয়েই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৬, ৭ এবং ৮ জুলাই রাজ্যগুলোর প্রধান নেতাদের সঙ্গে জোনভিত্তিক বৈঠক করবেন। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর বিজেপি নেতাদের ৬ জুলাই গুয়াহাটিতে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে। উত্তর, কেন্দ্রীয় এবং পশ্চিম রাজ্যের নেতারা ৭ জুলাই নয়াদিল্লিতে বৈঠক করবেন। দক্ষিণের রাজ্যগুলোর নেতারা ৮ জুলাই বৈঠকের জন্য হায়দ্রাবাদে জড় হবেন।
সূত্রের খবর, সাংগঠনিক পুনর্গঠনে জাতীয় পর্যায়ে কিছু পরিবর্তন করা হবে। যাতে আরও কয়েকজন নতুন সাধারণ সম্পাদকদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর মন্ত্রিপরিষদেও পরিবর্তন করতে পারেন। যে মন্ত্রকগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করেনি, সেগুলিতে পরিবর্তন করা হতে পারে।
এই সব পরিবর্তন সরকারের ক্লান্তি ফ্যাক্টরকেও দূর করতে সাহায্য করবে বলেই সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে। সেইমতো ৩ জুলাই বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে কথা রয়েছে। জল্পনা চলছে যে বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যগুলো থেকে কিছু প্রবীণ নেতাকে কেন্দ্রে আনার কথা ভাবছেন। এই বদল যেমন দলের ক্ষেত্রে, তেমনই সরকারের ক্ষেত্রেও ঘটানো হবে।
আরও পড়ুন- ‘মণিপুরের নিরাময় দরকার, সরকার বাধা দিচ্ছে’, অশান্ত পার্বত্য রাজ্য সফরে অভিযোগ রাহুলের
দলটি ইতিমধ্যেই শরিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার একটি সূত্র যেমন জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদে তাঁদের প্রতিনিধি থাকতে পারেন। অর্থাৎ, শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন। মহারাষ্ট্র বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ আবার তার মধ্যে শিণ্ডেকে তাঁর নেতা বলে সম্বোধন করেছেন। যাতে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, বিজেপি তার শরিকদের সঙ্গে বর্তমানে ঠিক কতটা সুসম্পর্ক চাইছে।