এক্সিট পোল অনুসারে, গুজরাটে বিজেপি পূর্ণ ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে। স্পষ্টতই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেণ্ড তাতে বিজেপি ১৮২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২৭টির বেশি আসন পেতে চলেছে। ভেঙে যেতে চলেছে ২০০২ সালের রেকর্ড। এখন দেখার কংগ্রেসের ১৯৮৫ সালের রেকর্ডকে ভাঙতে পারে কিনা বিজেপি।
গুজরাট বিধানসভা এবং হিমাচল বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ইতিমধ্যেই মধ্যেই আসতে শুরু করেছে৷ যা ট্রেণ্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে দুই রাজ্যেই এগিয়ে বিজেপি। গুজরাটে, বিজেপি ১৫৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং কংগ্রেস ২০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ৬ আসনে এগিয়ে আপ। অন্যরা তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে তুমুল লড়াইয়ে বিজেপিকে টেক্কা কংগ্রেসের। উল্লেখযোগ্যভাবে, গুজরাটের ১৮২টি আসনের জন্য দুটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি বিধানসভা আসনের জন্য একটি পর্বে ভোটগ্রহণ করা হয়। এক্সিট পোল দুই রাজ্যেই বিজেপি সরকারের ক্ষমতায় আসার পূর্বাভাস দিয়েছে। গুজরাটে ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
একজিট পোল বিজেপির প্রত্যাবর্তনের পূর্বাভাস দিয়েছে
সবকটি এক্সিট পোল গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। টাইমস নাউ-এর এক্সিট পোল অনুসারে, গুজরাটে বিজেপি ১৩৫-১৪৫টি আসন জিততে পারে। কংগ্রেস ২৪-৩৪টি আসন এবং আপ পেতে পারে ৬-১৬টি আসন। অন্যরাও ১-৩টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। Axis My India পোল অনুসারে, বিজেপি ১৩১-১৫১ আসন জিততে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ১৬-৩০টি আসন। আপের ঝুলিতে থাকতে পারে ৯-২১টি আসন।
হিমাচল প্রদেশে কি প্রথা ভাঙবে?
সকাল ৮টা থেকে হিমাচল প্রদেশের ৬৮টি আসনের ভোটগণনা শুরু হয়েছে। পোস্টাল ব্যালট আগে গণনা করা হবে। এরপর ইভিএমের গণনার কাজ শুরু হবে। ১৯৮৫ সাল থেকে রাজ্যে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের প্রচলন চলছে। এবার হিমাচলে ব্যাপক সংখ্যক ভোট হয়েছে। এবার রাজ্যে ৭৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রথা অনুযায়ী এবার ক্ষমতা পাবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই প্রথা ভাংতে চলেছে বলে দাবি করছে বিজেপি। হিমাচলে ৬৮টি আসনের মধ্যে ২৬টিতে এগিয়ে বিজেপি, ৩৯টি এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। ৩টি আসনে এগিয়ে নির্দল প্রার্থী
সকাল ৮টা থেকে গুজরাটের ১৮২টি বিধানসভা আসনে ভোট গণনা চলছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন দুই দফায় অনুষ্ঠিত হয়। ১ ডিসেম্বর ৮৯টি এবং ৫ ডিসেম্বর ৯৩টি আসনে ভোট হয়। ভূপেন্দ্র প্যাটেলকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করে নির্বাচনে লড়েছে বিজেপি। আম আদমি পার্টি ইসুদান গাধভীকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী করেছে। ঘাটলোদিয়া আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। জামনগর উত্তর আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন রিভাবা জাদেজা।
সবার চোখ এই আসনগুলোর দিকে
মোরবি আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন কান্তিলাল অমৃতিয়া। পাশাপাশি গান্ধীনগর দক্ষিণ আসন থেকে এগিয়ে রয়েছেন আলপেশ ঠাকুর। তিনি বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে লড়ছেন। কংগ্রেসের টিকিটে ইন্দ্রনীল রাজগুরু রাজকোট ইস্ট থেকে নির্বাচন করছেন। জিগনেশ মেভানি কংগ্রেসের টিকিটে ভাদগাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদন গাধভি খাম্বালিয়া থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আম আদমি পার্টির রাজ্য সভাপতি গোপাল ইতালিয়া সুরাট জেলার কাতারগাম আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন। হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গে পাতিদার আন্দোলনের মুখ ছিলেন আলপেশ কাথিরিয়া, ভারাছা রোড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, এসপির টিকিটে পোরবন্দরের কুটিয়ানা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কান্ধল জাদেজা। গুজরাটের ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৯৯টি আসন জিতেছিল, যেখানে কংগ্রেস মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েছিল।