গুজরাট জয়ের আশা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর, তাঁকে থামাতে গুজরাটে নতুন কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া নেতারা কেজরিওয়ালকে ছেড়ে নর্মদা আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটকরকে নিশানা করছেন। বহুদিন ধরেই পাটকরের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি নেতৃত্ব। গত ৪ সেপ্টেম্বর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা গুজরাটের ভূমিপুত্র অমিত শাহ তো মেধাকে "গুজরাটের শত্রু" বলে পর্যন্ত কটাক্ষ করেছেন। মেধাকে কার্যত জুজুবুড়ির পর্যায়ে তুলে শাহ অভিযোগ করেছেন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেজরিওয়াল প্রার্থী করেছেন মেধাকে। ফের তাঁকে গুজরাটে ফিরিয়ে আনতে পারে আপ।
এর আগে, ২৮ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে, কচ্ছের একটি সমাবেশে গুজরাটের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল তাঁর বক্তব্যে মেধা পাটকরকে "শহুরে নকশাল" বলে অভিযোগ করেন। সমাপ্ত সর্দার সরোবর বাঁধ প্রকল্প থেকে উদ্ভূত জেলার ভুজ-মান্ডভি নর্মদা শাখা খালের মত প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। ৩০ আগস্টও, গুজরাট বিজেপি পাটকরের একটি পুরোনো ভিডিও পোস্ট করে তাঁকে "শহুরে নকশাল" বলে অভিযোগ করে।
আরও পড়ুন- যেন ‘নায়ক’ সিনেমার অনিল কাপুর, রাতভর হাসপাতালের অব্যবস্থা পরিদর্শন তেজস্বী যাদবের
বিজেপির জন্য, পাটকর কেবল নর্মদার ওপর সর্দার সরোবর বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুখই নন। তিনি তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় হওয়া ২০০২ সালের দাঙ্গার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ। ২০০২ সালের এপ্রিলে, গুজরাট দাঙ্গার পর একটি শান্তি বৈঠকের সময় আহমেদাবাদের গান্ধী আশ্রমে পাটকরকে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। সেই লাঞ্ছনার মামলায় আহমেদাবাদ শহর শাখার বর্তমান সভাপতি-সহ দুই বিজেপি নেতার নাম রয়েছে এবং এখনও বিচার চলছে।
২০০৬ সালে, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদী নর্মদা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার প্রতিবাদে ৫১ ঘণ্টার অনশনে বসেছিলেন। সেটা ছিল পাটকরের অনশনের পালটা। এর আগে মেধ পাটকর বাঁধের উচ্চতা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনশনে বসেছিলেন। তার আগে বাঁধ প্রকল্পে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসনের দাবিতে তিনি অনশনে বসেছিলেন।
Read full story in English