নিয়মের গেরোয় পড়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে থেকে ইস্তফা দিলেন বিজেপির তারকেশ্বরের প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত। তাঁর ইস্তফাপত্রের প্রাপ্তিস্বাকীর করেছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডুর কার্যালয়।
ফৌজদারি মামলার তথ্য গোপনের অভিযোগে সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবি জানিয়েছে কমিশনে বিজেপি। খোদ প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী মমতার মনোনয়ন বাতিলের বিষয়টি তোলেন। এবার পাল্টা বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন সোচ্চার হল তৃণমূল কংগ্রেস। তারকেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রে স্বপন দাশগুপ্তকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। আর তাতেই বেঁধেছে গোল।
ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিলি অনুযায়ী, একজন মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন তাহলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে। স্বপন দাশগুপ্ত মনোনীত সাংসদ। তাই তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করায় আপত্তি তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে চিঠি লিখে রাজ্যসভা থেকে স্বপন দাশগুপ্তকে বরখাস্ত করার আবেদন জানাবে তারা।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র টুইট করে জানান, "ভারতীয় সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী, রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়া উচিত। শপথ গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে কোনও দলে যোগ দিলে মনোনীত সাংসদের পদ খারিজ হয়ে যায়। স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬ সালের এপ্রিলে শপথ নেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর সাংসদ পদ বাতিল করা উচিত।"
এই প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্ত পাল্টা জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের অভিযোগের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।তাঁর কথায়, "বর্তমানে আমি এখন নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যস্ত রয়েছি। রাজ্যসভা থেকে চিঠি আমার কাছে এলে তখন অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাব।" যদিও শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাই দিলেন গেরুয়া বাহিনীর তারকেশ্বরের প্রার্থী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন