বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মনীষীরাই যে অন্যতম ইস্যু তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না। বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিবেকানন্দর মূর্তিতে মাল্যদান, মিছিল-পাল্টা মিছিল, রাজনৈতিক নেতৃত্বের টুইট-বার্তা, নির্বাচনের আগে একেবারে 'বিবেক' জাগ্রত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলোর। অভিজ্ঞমহলের মতে, ভোটের ফলে আর যাই হোক বাংলার মনীষীরা প্রচারের আলোয় ফিরে এসেছে। এটাই বাস্তব।
১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দর জন্মদিন পালন করতে বাংলায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, এসেছেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। এদিন বিবেকানন্দর সিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, কেশব প্রসাদ মৌর্য, বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাজ্য নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শ্যামবাজার পাঁচ মাথা থেকে সিমলা স্ট্রিট পর্যন্ত বিবেক স্মরণে পদযাত্রা করেছে বিজেপি। ওই পদযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দলের নেতা, সাংসদ ও বিধায়করা জাঁকজমক করে স্বামী বিবেকানন্দকে স্মরণ করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার যুব তৃণমূলের ডাকে মিছিল শুরু হয় গোলপার্ক থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিবেকানন্দর জন্মদিনে যুব দিবস উপলক্ষ্যে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিল থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতি মুহূর্তে শ্লোগান উঠতে থাকে। বিবেকানন্দর ছবি দুহাত দিয়ে বুকের মাঝে ধরে পদযাত্রা করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও।
বিবেকানন্দর জন্ম দিনে মূলত প্রধান দুই প্রতিপক্ষ একে অপরকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। কয়েকদিন আগেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী উত্তাল হয়েছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তারপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতি বিজরিত বোলপুরে রোড শো করেছেন। এবার স্বামীজি স্মরণে মাতোয়ারা রাজনৈতিক দলগুলো। একে অন্যকে টেক্কা দিতে মরিয়া। মোদ্দা কথা রাজনীতির অঙ্গনে এবার স্বামী বিবেকানন্দর স্মরণ নয়া মাত্রা পেয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন