লোকসভা ভোটের আগে মোদি সরকারকে বিদ্ধ করতে এই মুহুর্তে রাহুল গান্ধীদের প্রধান হাতিয়ার রাফালে যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে চুক্তি। রাফালে যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। রাফালে নিয়ে বিরোধীদের ‘অপপ্রচার’ রুখতে এবার দলীয় কর্মীদের বার্তা দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সরকারের গায়ে কালি ছেটাতেই বিরোধী শিবিরের এই প্রয়াস বলেও বর্ণনা করা হয়েছে।
মুম্বইয়ে দলের কার্যনির্বাহী বৈঠকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকরি বলেছেন যে, প্রতিরোধের বদলে বিজেপি কর্মীদের এ নিয়ে আক্রমণাত্মক হতে হবে। তিনি আরও বলেছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা একেবারেই ভিত্তিহীন। রাফালে চুক্তি নিয়ে কোনও ভুল কিছু হয়নি বলেও দাবি করেছেন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নীতিন গডকরি আরও বলেছেন, ‘‘খরচ বৃদ্ধির কথা যে উল্লেখ করা হয়েছে, তা মিথ্যা।’’
অন্যদিকে, রাফালে চুক্তি বিতর্ক প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন যে, রাফালে চুক্তির ক্ষেত্রেই প্রথমবার কোনও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কেউ ছিলেন না। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে এসব প্রচার চালিয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, রাফালে চুক্তিতে সম্মতি ছিল না অর্থমন্ত্রক আধিকারিকের
এদিকে, রাফালে চুক্তি নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য মেলে বৃহস্পতিবার। রাফালে চুক্তির নির্ধারিত দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের এক মাস আগে চুক্তির নির্ধারিত দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই আধিকারিক। ওই আধিকারিক সেসময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি ও অ্যাকুইজিশন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এতেই শেষ নয়, এ প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের দাবি, দাম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই আধিকারিককে সেসময় ছুটিতে পাঠানো হয়।
কংগ্রেসের এহেন দাবি ঘিরে এবার রাফালে চুক্তি নিয়ে নতুন করে শোরগোল পড়েছে ওয়াকিবহাল মহলে। এ নিয়ে টুইটারে হিন্দিতে কবিতা লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সোনিয়া পুত্র লিখেছেন যে, সরকার ওই আধিকারিককে শাস্তি দিয়েছেন।