উনিশে টার্গেট ছিল ২৩, একুশে বিজেপির টার্গেট ১৮০। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অভাবনীয় ‘উত্থানে’র পর এবার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজানোর কাজ শুরু করতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। লোকসভা ভোটে অমিত শাহের ২৩ আসনের টার্গেট বঙ্গ বিজেপি না ছুঁতে পারলেও, ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে পদ্মফুল ফুটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ‘আধিপত্য’ অনেকটাই বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছেন দিলীপ ঘোষরা। লোকসভা নির্বাচনের সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখে তাই এখন মোদী-শাহদের পরের ‘মিশন’ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভোট মিটতেই একুশের মহাযুদ্ধের রোড ম্যাপ তৈরির কাজে নেমে পড়তে চলেছে পদ্মবাহিনী।
আরও পড়ুন: মুকুল কি ধাক্কা খেলেন? তৃণমূল নেতাদের দলে নেওয়ার প্রশ্নে ধীরে চলো নীতি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দলের রণকৌশল নির্ধারণ করতে মঙ্গলবার মধ্য কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন।বাংলায় ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৮০টিতে জেতার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ১৮টি আসনে জিতেছে পদ্মশিবির। লোকসভার ফল পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের ১২৯টিরও বেশি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ভোটের ফলের সেই হিসেবনিকেশ করেই এই টার্গেট বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের দলের সভাপতি অমিত শাহ বাংলায় ১৮০টি আসনে জেতার টার্গেট দিয়েছেন। সেই টার্গেট পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য’’।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপিতে সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করা হতে পারে। বহু জেলা সভাপতিকে বদল করা হতে পারে। এ প্রসঙ্গে এক শীর্ষ বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, দলের নেতৃত্বে অনেক নতুন মুখ আনা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে উনি নতুন দায়িত্ব পালন করবেন। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী ছিলেন, উনি এখন সাংসদ। সুতরাং সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করা হতে পারে’’।
Read the full story in English