বিজেপির রাজ্য সভাপতি তিনি। বাংলায় সংগঠন বৃদ্ধির অন্যতম কারিগর। লোকসভায় ১৮টি আসনে এবং বিধানসভায় ৭৭টি আসনে জয়ের পিছনে তাঁর পরিশ্রম কোনও অংশে কম নয়। কিন্তু একুশের মহারণের ফলাফলে অনেক ওলটপালট হয়েছে। আর সবচেয়ে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো খবর হল, দিলীপের নিজের বুথেই হেরেছে বিজেপি।
জানা গিয়েছে, নয়াগ্রামের যে বুথের ভোটার দিলীপ ঘোষ, সেখানে তৃণমূলের কাছে পিছিয়ে বিজেপি। নয়াগ্রাম বিধানসভায় কুলিয়ানা গ্রামেই পৈতৃক বাড়ি দিলীপ ঘোষের। সেখানে থাকেন তাঁর মা, দাদা ও ভাইয়ের পরিবার। সেখানকার প্রাথমিক স্কুলের ১১৭ নম্বর বুথের ভোটার হলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। গত ২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনে এই বুথেই ভোট দেন দিলীপ।
ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, নয়াগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী দুলাল মুর্মু ২৩ হাজার ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী বকুল মুর্মুকে। এখানেই শেষ নয়, ফলাফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ১১৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ৩২৬। আর বিজেপি পেয়েছে ২৫৩টি ভোট। অর্থাৎ ৭৩ ভোটে পিছিয়ে বিজেপি।
ওই স্কুলেই পাশের ১১৮ নম্বর বুথেও এগিয়ে তৃণমূল। দিলীপের নিজের বুথেই বিজেপির পিছিয়ে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, "দেখুন হয়তো উনি নিজেই হয়তো তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। উন্নয়নের সঙ্গী হতে।" কেন ভোট কমল তা নিয়ে পরে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওখানে বিজেপির লিড ছিল। বিধানসভায় কেন এই ফল তা তিনি খোঁজ নেবেন।