Suvendu Adhikari: রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিজেপি। শনিবার আরামবাগের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। ডুমুরজলা থেকে আকাশপথে আরামবাগ পৌঁছন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ছবিও তোলেন দুর্গত এলাকার। এবার তাঁর এই সফরকালেই রাজ্যের বন্যা নিয়ে সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘নিজের গদি বাঁচাতে ৫০ লক্ষ মানুষকে বিপদে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে প্রাক-বর্ষার যে কাজ সেটা এ বছর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী করতে দেননি। কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য প্রতিমাসে টাকা জোগার করতে হবে। রাজ্যের বন্যা দুর্গত অবস্থা, বাঁধের বেহাল দশা, অতিবৃষ্টির ফলে বাঁধের দুর্বল হয়ে যাওয়ার সঙ্গে ডিভিসির সম্পর্ক নেই।‘
তবে শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, মুখ্যমন্ত্রীর আরামবাগ সফরকে কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ফটো শ্যুট করতে এদিন আরামবাগে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যকে জানিয়েই ডিভিসি জল ছেড়েছে। এখন উনি বলছেন কিছু জানেন না।‘
একইভাবে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর খোঁচা, ‘উনি ১০ বছর ক্ষমতায়। ম্যান মেড যাতে না হয়, তার জন্য কী করেছেন? কেউ তো জল কেটে বাড়িতে ঢুকিয়ে দিয়ে আসছে না। বর্ষা হলে, জল নদী দিয়ে আসবেই। সেটা আটকাতে উনি কী করেছেন?’ এদিকে, ডিভিসি যেভাবে জল ছেড়েছে সেটা বড় অপরাধ। মেন মেড ক্রাইম। নবান্নে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ডিভিসি কতবার আমাদের ডোবাবে? ডিভিসি কেন ড্রেজিং করবে না? কেন বাঁধ সংস্কার করছে না? পুজোর সময় মানুষ উৎসব করবে, না প্রাণ বাচাবে? বছরে ৪ বার বন্যা হলে আমরা কী করব? আমরা এবার ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইব।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ‘এত জল ডিভিসি আগে কখনও ছাড়েনি। একেবারে জল ছেড়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। উদনারায়ণপুর, আমতা ঘাটাল, ডেবরা-সহ পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানের একাধিক ব্লক জলের তলায়। আমি ঝাড়খণ্ড সরকারকে বলব বিষয়টি দেখতে। তারাও বাঁধগুলো সংস্কার করুক। আমি আবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব। আমার মুখ্য সচিবকে বলব কৃষি সচিব এবং ক্যাবিনেট সচিবকে চিঠি লিখতে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন