একুশের নির্বাচনে লড়াই ত্রিমুখী নয়, বরং দ্বিমুখী। তৃণমূল এবং বিজেপির। আর এই নির্বাচনে ইস্যু যেন একটাই- "ঘরের লোক-বহিরাগত"। বিজেপির এ রাজ্য উত্থানকে বহিরাগতদের উত্থান বলেই তোপ দেগে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে, শিবসেনা, এআইএমআইএম, জেডিইউ-এর মত দল বাংলায় লড়াই করতে চেয়ে ইচ্ছেপ্রকাশ করতেই তাদের বিজেপির শরীক বানিয়ে ফের 'বহিরাগত' ইস্যুকেই সামনে আনল তৃণমূল। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, বাংলার অ-বাঙালি ভোট টানতেই বিজেপি এই বহিরাগতদের আনছে।
ঘাসফুল শিবিরের এক বর্ষীয়াণ নেতা বলেন,"আমরা সচেতন যে বিজেপি আমাদের অবাঙালি অধিবাসীদের ভোট নেওয়ার চেষ্টা করছে। তাঁদের দাবি তৃণমূল তাঁদের যত্ন নেয় না। তৃণমূলের কাছে বাঙালির সংজ্ঞা এমন কেউ হ'ল যিনি রাজ্যে থাকেন, রাজ্যকে বুঝতে পারেন, এর সংস্কৃতি জানেন, এবং এতে অবদান রাখেন। তারা কোথা থেকে এসেছে তা বিবেচ্য নয়। তারা সবাই বাংলায় স্বাগত এবং আমরাও প্রচারে এর গুরুত্ব দিয়ে থাকি। যাঁরা বাঙালি সংস্কৃতিকে আক্রমণ করেন এবং কোনও ধারণা নেই রাজ্য সম্পর্কে , তাঁরা হলেন বহিরাগত।"
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, "যারা অন্য রাজ্য থেকে আসবে তাঁরা বাংলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তৃণমূল বিভাজনের রাজনীতি করে।" দলীয় নেতাদের মতে, রাজ্যে অবাঙালি ভোটব্যাঙ্ক ভোটারদের প্রায় ১৫শতাংশ। কলকাতা ও তার আশেপাশে প্রভাবশালী পক্ষ এই অ-বাঙালিরাই। সেখানে সেই সংখ্যা প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার।রাজ্যের এক বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, “কলকাতার নিকটবর্তী রাজ্য থেকে প্রচুর শ্রমিক আসে এবং তারা প্রচুর সংখ্যক। তারপরে মাড়ওয়াদি সম্প্রদায় রয়েছে যা অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং সমৃদ্ধ।"
আরও পড়ুন, একুশে বাংলায় নির্বাচনে লড়বে শিবসেনা, টুইট করে ঘোষণা সঞ্জয় রাউতের
সিপিআইএম-এর পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, 'যদি এর আগের রাজনীতি দেখা যায় তখন তৃণমূল-বিজেপি একজোটে লড়াই করেছিল। এদের কোনও আদর্শ নেই। এখন বহিরাগত রাজনীতি নিয়ে বিভাজন চলছে।"
এদিকে, রবিবারই শিবসেনার তরফে বলা হয়েছে বাংলায় আসছে তাঁরা। ভোটের মুখে ঢাকঢোল পিটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শিবসেনার মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। এদিন টুইট করে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, একুশের বাংলা নির্বাচনে লড়বে হিন্দুত্ববাদী দল।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন