'আমি পরাজয় মানব না, শেষ পর্যন্ত লড়ব'। গত মাসে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী ভি সোমান্না। কিন্তু, তিনি যাই বলুন। বাস্তবটা হল, বিজেপির এই নেতা খুব বেশি লড়াই করতে পারেননি। তিনি মাইসুরু জেলার বরুনায় ৪৬,১৪৩ ভোটে মুখ্যমন্ত্রী পদের লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামা কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী ভি সোমান্নার কাছে হেরেছেন। একইসঙ্গে প্রাক্তন আবাসন মন্ত্রী চামরাজানগরে দলের দেওযা নিরাপদ আসনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানেও তিনি হেরেছেন।
Advertisment
দলই তাঁকে জেতা আসন গোবিন্দরাজানগর থেকে সরিয়ে অন্যত্র প্রার্থী করেছে। তারপর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দু'জায়গায় হার স্বভাবতই মেনে নিতে পারছেন না ৭২ বছর বয়সি লিঙ্গায়েত নেতা। রবিবার তাঁকে হারের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়, ৪০% লিঙ্গায়েত ভোট থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি বরুণায় হেরে গেলেন? জবাবে ভি সোমান্না বলেন, 'আপনাদের (প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন লিঙ্গায়ত ভোট ভাগ হল? তিনি কর্ণাটকে বিজেপির সবচেয়ে বড় নেতা এবং একজন লিঙ্গায়েত। আমি এটা নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না।'
সোমান্না তাঁর পরাজয় মেনে নিয়েছেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই পরাজয় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অবসান ঘটাবে না। শুধু তাই নয়, সোমান্না আরও দাবি করেছেন যে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও পরাজয়ের পর তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি জিততে না-পারায় আঘাত পেয়েছি। কিন্তু, আমাদের এটা মেনে নিতে হবে। আমি রাজনীতি ছাড়ব না। শুধু সুসময়ের অপেক্ষা করব।'
সোমান্না ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুর গোবিন্দরাজানগর নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দলের পক্ষ থেকে সিদ্দারামাইয়ার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এটি বিজেপির একটি সাহসী পদক্ষেপ ছিল। গেরুয়া শিবির আশা করেছিল যে সোমান্নার মত একজন নেতা অন্ততপক্ষে, সিদ্দারামাইয়াকে বেশ চাপে রাখবেন। পরিবর্তে যখন সিদ্দারামাইয়া কর্ণাটকজুড়ে প্রচার করে কংগ্রেসকে একটি বড় জয়ের দিকে নিয়ে গেলেন, সোমান্না সেখানে বরুণা এবং চামরাজানগর- দুই জায়গা থেকেই হেরে গেলেন। ঘটনাচক্রে, এই উভয় বিধানসভা কেন্দ্রেই লিঙ্গায়ত ভোটের যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। সোমান্নার এই হারের ক্ষতে নুন পড়েছে বিজেপি গোবিন্দরাজনগরেও পরাজিত হওয়ায়।