New Update
Advertisment
পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছেন দুই বিজেপি সাংসদ। অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বাংলা ভাগ নিয়ে দলের অন্দরেই মতান্তর তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে দীর্ঘ বঞ্চনার তত্ত্বকেই হাতিয়ার করছে পদ্ম বাহিনী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে না। উল্টে বাঙালি আবেগ উস্কে বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ এনে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। তাই আর দেরি না করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সতর্ক করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবারই সৌমিত্র খাঁকে জরুরিভিত্তিতে দিল্লিতে ডেকে পাঠান সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘বঙ্গভঙ্গ’র অস্বস্তি ধামাচাপা দিতে ‘বঞ্চনা’ই হাতিয়ার দিলীপের
রাজ্য ভাগের মতো স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি দিলে তা হিতে বিপরীত হতে পারে৷ যার প্রভাব পড়তে পারে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে। তাই আপাতত দুই সাংসদের মুখে লাগাম পরিয়ে বাংলা ভাগ ইস্যু কিছুটা থিতিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে বিতর্কিত মন্তব্য না করার জন্য দুই সাংসদকে সতর্ক করলো বিজেপি।
আরও পড়ুন- ‘ধরি মাছ-না ছুঁই পানি’, বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে এক রা আরএসএস-ভিএইচপি-র
বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পৃথক উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের দাবিতে সরব বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, সৌমিত্র খাঁ। আর এতেই রাজনীতির মঞ্চে অস্বস্তি বাড়ছে দেখে দুই সাংসদের দাবির সঙ্গে আগেই দূরত্ব বৃদ্ধির চেষ্টা করেছে রাজ্য বিজেপি নেতারা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'বিজেপি অখণ্ড বাংলাকর উন্নয়নের পক্ষে।' কিন্তু এতে চিঁড়ে ভেজেনি। বরং বাংলা ভাগের দাবিতে অনড় জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁ। তারপরই দুই সাংসদকে বিরত করতে হস্তক্ষেপ করল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সতর্ক করা হয়েছে দলের দুই সাংসদকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন