ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সব জেলা সভাপতি ও কমিটি বাতিল করা হল। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরবর্তী ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপির জেলা সভাপতিরাই দলের মোর্চার দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তবে, দলের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
২০২১ বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্য বিজেপি ও তার বিভিন্ন মোর্চার সংগঠনে রদবদল করা হয়। যুব মোর্চার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিষ্ণুপুের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। কিন্তু, তাঁর এই পদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। মিলছিল গোষ্ঠী কোন্দলের আভাস। এ দিনের ঘোষণার পিছনেও রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই প্রকটভাবে কার্যকর হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদে ইনিংসের শুরুতেই জেলায় যুব মোর্চা সভাপতিদের নামের তালিকা প্রকাশ করে প্রত্যাহার করতে হয় তাঁকে। সেসময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ওই তালিকা বৈধ নয়। সৌমিত্র অবশ্য দাবি করেছিলেন, দিলীপ ঘোষকে জানিয়েই এই তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি। ওদিকে সংগঠনের সদস্যদের দাবি ছিল, তালিকা তৈরিতে গড়মিল হয়েছিল। ১৫টি জেলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরনো নেতাদের। তালিকা তৈরিতে যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির মতামত নেওয়া হয়নি।
বিতর্কের মাঝে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘যুব মোর্চার রাজ্য কমিটিই তৈরি হল না। জেলা সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত হল কী করে?’ পরে অবশ্য বিতর্ক জিইয়ে রেখেই রাজ্য যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ও কমিটি সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। অগাস্টের শেষের এই ছবিতেই স্পষ্ট হয়েছিল মূল বিজেপি ও তার যুব সংগঠনের নেতৃত্বের মধ্যে টানাপোড়েন রয়েছে। কিন্তু, শুক্রবারের দিলীপ ঘোষের ঘোষণার পর সৌমিত্র খাঁ ইঙ্গিতপূর্ণভাবে জানিয়েছেন তিনি কিছুই জানেন না। যা থেকেই প্রকট যে ওই টানাপোড়েন ক্রমশ ফাটলে পরিণত হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন